আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিল নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ পাক্কা রোড সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জিসা মনি । এক মাস পর ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন।
মামলায় জাহাঙ্গীর উল্লেখ করেন, আসামি আব্দুল্লাহ তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিত। এতে বাধা দিলে মেয়েকে অপহরণের হুমকি দেয়। ৪ জুলাই সন্ধ্যায় আব্দুল্লাহ ফোনে ঠিকানা দিলে আমার মেয়ে সেই ঠিকানায় যায়। পরে তাকে গাড়ি দিয়ে অপহরণ করে আব্দুল্লাহ ও তার সহযোগীরা। এরপর থেকেই আমার মেয়ের কোন খোঁজ নেই।
মেয়েটির মায়ের মোবাইলের কললিস্ট চেক করে রকিবের সন্ধান পায় পুলিশ। রকিবের মোবাইল নম্বর দিয়ে আব্দুল্লাহ জিাসার সাথে যোগাযোগ করতো। ঘটনার দিনও ওই নম্বর দিয়ে কল করে আব্দুল্লাহ। এ ঘটনায় রকিব, আব্দুল্লাহ ও নৌকার মাঝি খলিলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও নিহত জিসা মনির লাশ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
৯ আগস্ট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবিরের পৃথক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় আসামীরা। স্বীকারোক্তিতে তারা জানায়, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জিসাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীতে।
জিসামনির নিখোঁজের দেড় মাস এবং আসামীদের স্বীকারোক্তি প্রদানের প্রায় ১৫দিন পরে রোববার(২৩ আগস্ট) সেই জিসা মনিকে জীবিত খুঁজে পায় তার বাবা-মা। বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার একটি মোবাইল ফোনের দোকান থেকে তার মা বাবা উদ্ধার করে।
জিসার মা জানান, বন্দরের কুশিয়ারা এলাকা ইকবাল নামে একটি ছেলে সাথে গত দেড়মাস ছিলো জিসা। জিসাকে বিয়ে করে তারা সেখানে ছিলো বলে জানান তিনি। গতকাল ২৩ আগষ্ট বেলা আড়াইটায় জিসামনি একটি ফোনের দোকান থেকে মোবাইলের মাধ্যমে তার মায়ের কাছে ফোন করে চার হাজার টাকা দাবী করে। এরপর মেয়ের মা রেখা বেগম তার মেয়েকে প্রশ্নকরে তুমি কোথায় আছো এ উত্তরে ফোনের দোকানের নাম্বার দেয়। এখবর মেয়ের মা তার স্বামী জাহাঙ্গীরকে জানায়। স্ত্রীর মূখে ঘটনাশুনে মেয়ের বাবা জাহাঙ্গীর সদর মডেল থানায় হাজির হয়ে মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই শামীমকে ঘটনাটি জানালে উক্ত অফিসার মেয়কে উদ্ধারের জন্য নিজে না গিয়ে উল্টো মেয়ের বাবাকে বলেন, তার মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় হাজির করার জন্য।এরপর ঐ ফোনের নাম্বারের সূত্রধরে খোজ নিয়ে ঘটনাস্থল বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকা থেকে মেয়েকে নিয়ে সরাসরি নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় হাজির হয়।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। সে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তবে এর আগে গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের স্বীকারোক্তির ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
আপনার মতামত লিখুন........