আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃফতুল্লায় ডিপ-টিউবওয়েল কন্ট্রাক্টর মোস্তফা হাওলাদারকে (৪৮) পরকীয়া ও টাকা দেনা-পাওনার বিরোধে প্রথম দফায় পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ছেড়ে দেয়া হয়। এতে থানায় অভিযোগ করায় দ্বিতীয় দফায় পিটিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার বাইশ্রী গ্রামের মৃত হাসমত আলীর ছেলে মোস্তফা হাওলাদার ৩০/৩৫ বছর আগে প্রথম স্ত্রী রেহেনাকে গ্রামের বাড়ি রেখে নারায়ণগঞ্জে চলে আসেন। এরপর ১৮ বছর আগে সীমা নামে আরেকজনকে বিয়ে করে একেক মাসে একেক বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করেন।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে ডিপ-টিউবওয়েল কন্ট্রাক্টরি করার সময় দ্বিতীয় স্ত্রী সীমার বড়ভাই খালেকের স্ত্রী খায়রুনের সঙ্গে মোস্তফার পরকীয়া সম্পর্ক হয়। এতে খায়রুন হোসিয়ারি ব্যবসা করার কথা বলে মোস্তফার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মোটা অঙ্কের টাকা ধার নেন। সেই টাকা চাইতে গিয়ে খায়রুন ও মোস্তফার সঙ্গে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
১৩ নভেম্বর বিকালে টাকা চাইতে গেলে খায়রুন ও তার ছেলে শাহজালাল তাদের দোকানের কর্মচারী জুয়েলসহ অজ্ঞাত লোকজন নিয়ে মোস্তফাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। এ ঘটনায় তাদের তিনজনের নামে থানায় অভিযোগ করেন মোস্তফা। এতে তারা চরম ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার (১৮ নভেম্বর) রাতে মোস্তফাকে পরিকল্পিতভাবে ফতুল্লার গলাচিপা এলাকার আউয়াল চেয়ারম্যানের বাড়িসংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা শেষে লাশ বালুতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপন করেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন........