আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : অবশেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বিএনপিপন্থি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদ। সমিতির নির্বাচনে গঠিত কমিশনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতাসীনদের সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে তারা বুধবারের (২৯ জানুয়ারি) নির্বাচন বয়কট করেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় নির্বাচন কমিশনারদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বিগত নির্বাচনে যাকে প্রধান নির্বাচন কমিশন করা হয়েছিল, তিনি সেই সময় নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে পারেনি। সেই সময় আইনজীবীদের ভোট ডাকাতি করা হয়েছে। ঠিক একইভাবে এবারের নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করার জন্য, পূর্বের বিতর্কিত ব্যক্তিকেই নির্বাচন কমিশন করা হয়েছে। তাদের ইচ্ছা মতোই নির্বাচন কমিশনও নিয়োগ দিয়েছেন। এবার এর প্রতিবাদে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের একাংশের আইনজীবীরা আদালত পাড়ায় বিক্ষোভ করেছেন। কিন্তু সাধারণ আইনজীবীদের মতামতের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সবশেষ নির্বাচনের দুই দিন আগে তারা নির্বাচনের ভেন্যু পরিবর্তন করেছে। যার কোনো এখতিয়ার কমিশনের নেই। পরিবর্তন চেয়ে আবেদন করলেও আমাদের অপদস্ত করা হয়েছে। পাবলিক প্রসিকিউটর আমাদের প্রার্থীদের হুমকি দিয়েছে। তাই সবদিক বিবেচনায় আমরা এই নির্বাচন থেকে সরে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই সঙ্গে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করে অবাঞ্ছিত কমিশনারদের সরিয়ে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবির, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বারী ভূইয়া, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, আব্দুল হামিদ ভাষানী, অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা নির্বাচন কমিশনারদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত পাড়ায় দফায় দফায় বিএনপিপন্থি ও আওয়ামী লীগের একাংশ বিক্ষোভসহ স্মারক লিপিও প্রদান করেছিল। তবে এক পর্যায়ে আওয়ামীপন্থি আইনজীবী দিপু-পলু পরিষদ তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।
এ ব্যাপারে বিএনপিপন্থি আইনজীবী মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আইজীবীদের অধিকার আদায়ে যে সমিতি কাজ করার কথা তা আজ একটি পক্ষ কুক্ষিগত করে রেখেছে। স্বচ্ছ নির্বাচন দেওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। সাধারণ আইনজীবীদের দাবির প্রেক্ষিতেও নির্বাচন কমিশন পরিবর্তন করেনি তারা। যেহেতু আমাদের কোনো কথারই মূল্যায়ন হচ্ছে না। তাই বুধবারের নির্বাচন থেকে আমাদের পূর্ণ প্যানেল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন........