আলোকিত নারায়নগঞ্জ: ১১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলার ৩উপজেলার ১৬ ইউপিতে ২য় ধাপে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এর আগেই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ও বক্তাবলি ইউনিয়ন এবং রুপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া,ভূলতা ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।এ র ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে বলে ক্ষোভে ফেঁটে পড়েছে ৫টি ইউপির ভোটাররা।
মঙ্গলবার(২৬ অক্টোবর) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিনে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ৫ ইউপির নির্বাচিত হবার এই তথ্য জানা যায়।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আপীলের পর ১৬ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ছিলেন ৬০ জন। শেষ দিনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ৯ জন। ৫টি ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হচ্ছেন ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী। যার ফলে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবে ৪৬ জন।অন্যদিকে আপীলের পর সাধারণ সদস্য প্রার্থী বৈধ প্রার্থী ছিলেন ৬০২ জন। শেষদিনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ৫৫ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ১১ জন এবং সাধারণ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করবে ৫৩৬ জন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে বৈধ প্রার্থী ছিলেন ১৬৫ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ৪ জন সদস্য প্রার্থী নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন এবং নির্বাচন করবে নারী সদস্য ১৫২ জন।
গত ২১ অক্টোবর সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নে মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ে বক্তাবলি ইউপির আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এম শওকত আলী বৈধ হলেও জাতীয় পার্টির আবুল হোসেন ব্যাংক ঋণ খেলাপি হওয়ায় মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয় এবং কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মনিরুল আলম সেন্টু,ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকে জাকির হোসেন,বাসদের এস এম কাদির ও স্বতন্ত্রের কাউছার আহমেদ মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষনা করা হলেও মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ অক্টোবর তিন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন যার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন মনিরুল আলম সেন্টু।
অন্যদিকে রুপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল, ভুলতা ও মুড়াপাড়া ইউপিতেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন যথাক্রমে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কামরুল হাসান ভূঁইয়া (তুহিন), আরিফুল হক ভূঁইয়া ও তোফায়েল আহমেদ আলমাছ। গত ১৭ অক্টোবর মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে গোলাকান্দাইল ভুলতায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে আর কেউই মনোনয়নপত্র জমা দেননি। অন্যদিকে মুড়াপাড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মনির হোসেন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে তোফায়েল আহমেদ আলমাছ আবারও এই ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
এদিকে ৫ ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে সাধারণ ভোটাররা। পাঁচ বছর পর পর গণতান্ত্রিক অধিকার ভোটাধিকারের স্বপ্ন থাকলেও ধূলিসাৎ হতে যাচ্ছে কুতুবপুর,বক্তাবলি,মুড়াপাড়া,গোলাকান্দাইল ও ভুলতা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের।
৫ ইউপির ভোটাদের এখন একটাই দাবী আমাদের মন মত করে নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে পারবো না এবং ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি এখন তাদের দাবী চেয়ারম্যানদের মত তাদের মনোনীত প্রার্থী মেম্বার প্রার্থীদের মেম্বার করে পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকেই বন্ধ করে দেওয়া হোক। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান আমরা চাই না। আমরা চাই আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা তাদের যোগ্যতায় নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হোক।আর যদি তা না হয় আমাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয় তাহলে তাদের মনোনীত মেম্বার প্রার্থী বাছাই করে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যকরী পরিষদ ঘোষনা করা হোক।আমরা চেয়ারম্যান ছাড়া নির্বাচন চাই না।
আপনার মতামত লিখুন........