আলোকিত নারায়নগঞ্জ:ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে পুরো এলাকায় চলছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীদের পক্ষে সকাল থেকে শুরু করে রাত দশটা পর্যন্ত উচ্চ শব্দে মাইকিং চলছে। দিনভর মাইকের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীদের সমস্যার কথা ভেবে মাইকিং বন্ধ অথবা সীমিত করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৬ ডিসেম্বর ফতুল্লা ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সদস্য পদে ১০০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা পদে ২৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীরা রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় মাইক লাগিয়ে প্রচারণামূলক গান ও স্লোগান প্রচার করছেন। এসব ভ্রাম্যমাণ মাইকের লাগাতার শব্দে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে চলমান এইচএসসির পরীক্ষার্থীরা। নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি অনুযায়ী, বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত মাইকিং করে প্রচারণা চালানোর নিয়ম থাকলেও, সেটি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা। এতে বিরক্ত হচ্ছেন এ ইউনিয়নের ভোটার ও।
দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার এইচএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবক আবুল কালাম বলেন, রাত নয়টা-দশটা পর্যন্ত মাইকে প্রচারণা চলতে থাকে। বিকট শব্দের কারণে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় মন বসাতে পারছে না।
লালপুর এলাকার রতন কুমারসহ চার-পাঁচজন অভিভাবক বলেন, এভাবে দিনরাত মাইক বাজানোর কারণে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের সমস্যার কথা ভেবে প্রার্থীদের মাইকিং বন্ধ অথবা সীমিত করার জন্য দাবি জানান তাঁরা।
ব্যাংক কলোনীর এলাকায় বাসীন্দা সাব্বির আহম্মের তুহিন বলেন, নির্বাচন না নির্যাতন ঠিক বুঝতেছিনা মাইকের আওয়াজে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি।
রেলষ্টেশন রোডের একাধিক দোকানদার জানান, যে ভাবে ক্যাম্প করে সকাল থেকে রাত দশটা পযর্ন্ত বিভিন্ন গান বাজিয়ে নির্বাচনি প্রচারনা চালাচ্ছে এটা ঠিক না।মাইকের শব্দে মাথা ব্যথা করে এবং কাষ্টমার ডাল চাইলে চাল দেই। যে প্রচারনা মানুষকে কষ্ট দেয় তাদের ভোট দিব কি করে।
অসিম সাহা বলেন, একটির পর একটি মাইক আসতেই থাকে। এতে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। মাইকের যন্ত্রণাদায়ক শব্দের কারণে ঠিক মতো কথা বলা যায় না। মাইকিংয়ের উচ্চস্বর কমিয়ে দেয়া উচিত।
এ ব্যাপারে মেম্বার প্রার্থী বিল্লাল হোসেন পাপ্পু দাবি করেন, পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় এনে মাইকের মাধ্যমে যতটুকু প্রচার না করলেই নয়, ঠিক ততটুকুই করা হচ্ছে।
এদিকে চার থেকে পাঁচজন প্রার্থীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, সন্ধ্যার পর মাইকিং বন্ধের ব্যাপারে সব প্রার্থী যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে তাঁরাও সেটি বাস্তবায়ন করবেন।
আপনার মতামত লিখুন........