আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: অবশেষে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার মুসলিম নগর এলাকার জনপ্রিয় ফার্মেসি বন্ধ করে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন। ফার্মেসিতে প্রসূতির ডেলিভারি করতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে বৈধ কোনো কাগজ দেখাতে না পারায় দোকানটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
বুধবার দুপুরে সিভিল সার্জন ডা. মো. ইমতিয়াজ আহমেদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ফার্মেসিটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো জাহিদুল ইসলাম, জেলা ড্রাগ সুপার ইকবাল হোসেন, জেলা হেলথ সুপার স্বপন দেবনাথ প্রমুখ।
এর আগে (১০ অক্টোবর) ইউনুস নামে এক ব্যক্তির প্রসূতি স্ত্রীর নরমাল ডেলভারি করায় ওই ফার্মেসির মালিকের স্ত্রী। প্রসূতির ডেলিভারি করানোসহ চিকিৎসা দেয়ার মতো কোনো ধরনের বৈধতা না থাকলেও ডেলিভারি করানো হয়েছে। কোনো অভিজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া কেবলমাত্র একজন নার্সের সাহায্য নিয়ে ডেলিভারি করানো হয়। ডেলিভারির সময় প্রসূতির নবজাতক শিশুটি আঘাতপ্রাপ্ত হলে তড়িঘড়ি করে তাদেরকে মোস্তাফিজ সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মাতুইয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটি মারা যায়। এছাড়াও প্রসূতির জরায়ুস্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় সেলাইও দেয়া হয়।
এদিকে ওই ঘটনার পর ফার্মেসির মালিককে বাঁচাতে একটি দালাল চক্র মাঠে নামে। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাও চালায়। এমনকি ওই দালাল চক্রটি ভুক্তভোগী প্রসূতির স্বামী ইউনুসকে বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি করে তাকে ম্যানেজ করে ফেলে। এরপর ইউনুছ বক্তব্য থেকে সরে আসে। কিন্তু গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে তা নজরে আসে সিভিল সার্জনের। পরে বুধবার দুপুরে সিভিল সার্জন ডা. মো. ইমতিয়াজ আহমেদেও নেতৃত্বে ওই ফার্মেসিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সিভিল সার্জন ওই ফার্মেসির সকল কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করে তা বন্ধের নির্দেশ দেন। এসময় ফার্মেসির বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি মালিক।
এদিকে অভিযানের সংবাদ পেয়ে জনপ্রিয় ফার্মেসির মালিক ফার্মাসিস্ট আব্দুর রহিম গা ঢাকা দেয়। নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইমতিয়াজ আহমেদ অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন........