আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকায় এক সময়ের শীর্ষ মাদক সম্রাট বোমা লিপুর নিয়ন্ত্রণে মাদক ব্যবসা হলেও বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করছে মাদক স¤্রাট ১৩টি মামলার আসামী হান্ড্রেড বাবু ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ জুন নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির সাথে ১৬টি মামলার আসামী শীর্ষ মাদক সম্রাট বোমা লিপু বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। তারপর কিছুদিন মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে থাকলেও আবার শুরু হয় জমজমাট মাদক ব্যবসা।
বর্তমানে ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের অন্যতম হান্ড্রেড বাবু। মাদক বিক্রিতে তার বিরুদ্ধে কেউ বাধা দিতে গেলে বিশেষ বাহিনী দিয়ে ঐ বাধা দানকারী লোকজনদের লাঞ্চিত করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা।
সূত্রে আরও জানা যায়, এছাড়াও সোর্স সোহাগ তাকে মাদকসহ পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়। বাবু জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তার বাহিনী দিয়ে সোর্স সোহাগকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হাত পা ভেঙ্গে ফেলে রেখে চলে যায় পরে চিৎকিসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে সোহাগ মারা যায়। তার ভয়ে এলাকাবাসী মুখ খুলতে সাহস পায় না। তারই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একডজন মাদক বেচাকেনার সেলসম্যান।
বুধবার ২৯ জানুয়ারী ফতুল্লা রেলষ্টেশন এলাকা থেকে হান্ড্রেড বাবুর ক্যাশিয়ার শুভকে ৬০ পুড়িয়া হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এরপরও তার মাদক ব্যবসা জমজমাট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক বাসিন্দা জানান, হান্ড্রেড বাবু তার সাঙ্গপাঙ্গসহ ষ্টেশন এলাকার অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে শেল্টারদাতা হিসেবে স্থানীয় অনেক নামধারী নেতা বাদেও রয়েছে বিশেষ কিছু কর্তাব্যক্তি। যাদের সাথে রয়েছে অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সম্পর্ক আর সেই সর্ম্পকের সূত্র ধরেই ঐ ব্যক্তিরা স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদেরকে শেল্টার দিয়ে দৈনিক/সাপ্তাহিক/মাসিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার ফলে অত্র অঞ্চলকে মাদকমুক্ত করা যাচ্ছে না। এই মাদক বিক্রেতাদের গ্রেফতার ও তাদের শেল্টারদাতাদের দ্রুত আইনের আওতায় নেয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন........