নিজস্ব সংবাদদাতা : ফতুল্লা পিলকুনীতে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে নেশাদ্রব্য সেবন করিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় যুবলীগ কর্মী জনি (৩৫) সহযোগীতার অভিযোগে প্রমী(৩২) কে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। বুধবার রাত ১১টায় প্রমীকে ও বৃহস্পতিবার রাতে জনিকে পিলকুনী নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় অসামাজিক কর্মকান্ডের সাথেও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। জনি এলাকায় যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসাসহ অসামাজিক কর্মকান্ড করে থাকে। জনি মাদকসহ পুলিশের হাতে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়েছিল ।
ধর্ষিতার বাবা জলিল মিয়া জানান, তার মেয়েকে প্রমী তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে খিচুড়ীর সাথে কৌশলে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাবারের সাথে সেবন করিয়ে তার বাড়িতে রেখে দেয়। অনেক খোঁজাখুজির পর তার মেয়ে প্রমীর বাড়িতে আছে নিশ্চিত হয়ে সেখানে গেলে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এরপর তার মেয়ে স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে না পারায় তাদের সন্দেহ হলে পুলিশ খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রমীকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই আসাদ জানায়, ধর্ষিতার মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। রাতে প্রমীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ধর্ষনের কথা স্বীকার করে বলেন, পাশের বাড়ির যুবলীগ নেতা জনির সাথে আমার শারীরিক সর্ম্পক রয়েছে । সেই সুবাদে সে আমার ঘরে প্রবেশ করে কিন্তু আমার পিরিয়ড থাকায় তার সাথে মেলামেশা থেকে বিরত থাকি। আমি তখন টয়লেটে প্রবেশ করলে সে মেয়েটিকে ধর্ষন করে।
তিনি আরো জানান, এব্যাপারে থানায় ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর প্রমীর মা রওশনারা ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন........