নারায়ণগঞ্জশনিবার , ৬ জুন ২০২০
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

ভারি বর্ষণে ফতুল্লা জুড়ে জলাবদ্ধতা

Alokito Narayanganj24
জুন ৬, ২০২০ ১:১২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

তুষার আহমেদ : ভারি বর্ষনে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুর দেড়টা থেকে ফতুল্লায় ভারি বর্ষন শুরু হয়। প্রায় ৩ ঘন্টা টানা ভারি বর্ষনের পর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত থেমে থেমে চলতে থাকে বৃষ্টি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ফতুল্লার লালপুর, ইসদাইর, মাসদাইর, দেওভোগ, শিবু মার্কেট, সস্তাপুর, হাজীগঞ্জ, কুতুবআইল, কাঠেরপুল, লামাপাড়া, লালখা, সেহাচর, তক্কারমাঠ, পিলকুনী, দাপা ইদ্রাকপুর, জোড়পুল, খা বাড়ি, খোজপাড়া, আলীগঞ্জ, পাগলা, নয়ামাটি, রসুলপুর, নূরবাগ, মুসলিমপাড়া, এনায়েতনগর, কাশিপুর ও বক্তাবলীসহ গোটা ফতুল্লা থানা এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
এসব এলাকার সরু গলিসহ মূল সড়কে অবস্থিত বাসা-বাড়ির পয়নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো আবর্জনায় আটকে গেছে। ফলে বৃষ্টির পানি মূল ড্রেনে যেতে না পেরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও হাটু আবার কোথাও হাটুর উপরে উঠেছে পানির স্তর। একই সাথে রাস্তায় জমে থাকা পানির উচ্চতা বেড়ে আবর্জনাসহ তা ঘরের ভিতরে প্রবেশ করছে। এতে করে চড়ম ভোগান্তি ও মারাত্মক সাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে এসব অঞ্চলের মানুষগুলো।
ডিএনডি বাঁধের আওতাভুক্ত হওয়ায় এখানে জলাবদ্ধতার চিত্র নতুন নয়। তবে, এই জলাবদ্ধতা দূরিকরণে সকারের পক্ষ থেকে ৫শ’ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও দু’বছরেও তা সম্পন্ন করা যায়নি। ফলে জলাবদ্ধতার পুরনো আতঙ্ক দেখা দিয়েছে নতুন করে।
তবে, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তা বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতার ভয়াবহ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে ডিএনডি বাসী। সেই অপেক্ষায় এই অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন, বৃষ্টির মৌসুম শুরুর আগে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে ড্রেন সংস্কার ও পরিস্কারে অবহেলা করা হয়েছে। তাই বৃষ্টি হলে ড্রেনগুলো আটকে যায় এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সেদিকে নজর দিচ্ছেন না জনপ্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে দাপা ইদ্রাকপুর খা বাড়ী এলাকার বাসিন্দা মোঃ পাপন সরকার বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পানির সাথে মলমূত্র ও শিল্প-কারখানার কেমিক্যালযুক্ত বিষাক্ত পানি মিশে রাস্তা তলিয়ে ঘরে প্রবেশ করেছে। কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে এই পরিনতি। বৃষ্টি আরো বেড়ে গেলে আমাদের অবস্থা আরো খারাপ হবে। কিন্তু স্থানীয় চেয়ারম্যান বা ইউপি সদস্য সেদিকে নজর দিচ্ছে না। শুকনো মৌসুমেই ড্রেনগুলো সংস্কার করা প্রয়োজন ছিলো। তাহলে এখন এতো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো না। বা পানি জমলেও তা দ্রæত সরে যেত। কিন্তু পানি সরছেই না।’
পাগলা এলাকার বাসিন্দা মোঃ রুহুল আমিন বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলে আমাদের এই এলাকার রাস্তাগুলো খালে পরিণত হয়। বৃষ্টির পানির সাথে ময়লা আবর্জনা মিশে তা ঘরে প্রবেশ করছে। পরিবারের সবাই স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছি। পানি পারিয়ে ঠান্ডা লেগে গেলে অনেকে হয়তো করোনা হয়েছে ভাববে। তাই আতঙ্কে রয়েছি সবাই।
লালখা এলাকা থেকে গৃহিনী সেলিনা বেগম বলেন, ঘরসহ রান্না ঘরেও পানি ঢুকেছে। ঘরের আসবাবপত্র পানিতে ভিজে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শিশু সন্তানদের নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পরেছি। আশপাশের সব বাড়িতেই এই অবস্থা। রাস্তা তলিয়ে ঘরে পানি ঢুকেছে।
সরেজমিনে আরো দেখা যায়, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ ঘেষা দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় সাংসদ সেলিম ওসমানের শিল্পপ্রতিষ্ঠান উইজডম এ্যাটায়ার্স সংলগ্ন সড়কের অবস্থা আরো বেগতিক। খানাখন্দে ভড়া এই সড়কটিও তলিয়েছে বৃষ্টির পানিতে। একই উইজডম সংলগ্ন টাগারের পানি বেড়ে রাস্তায় হাটুর উপরে পানি উঠেছে। ব্যটারী চালিত অটোরিক্সা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে চাইছে না।
শাহ আলম নামে এক রিক্সা চালক বলেন, এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করলে রিক্সার ব্যাটারী ও মটর ভিজে যাবে। তখন আরো বিপদে পরবো। তাই এই রাস্তা দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছি না।
এদিকে দ্রæত সময়ের মধ্যে ডিএনডি প্রকল্প বাস্তবায়নসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকে এলাকার ড্রেনগুলো পরিস্কারের জন্য তাগিদ দিচ্ছেন বাসিন্দারা।
এবিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- ‘২ বছর ধরে সেনাবাহিনী ডিএনডি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে। সময় অনুযায়ী কাজ আগায়নি। কারণ তারাও অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পরেছে। খালগুলোতে কালবার্ট নির্মান করতে হচ্ছে। খালগুলো অবৈধ দখল মুক্ত করতে হচ্ছে। তাই সময় বেশি লাগছে। তবে, তারা দ্রæত সময়ের মধ্যেই স্থায়ী সমাধানের জন্য কাজ করবে বলে আমার বিশ^াস।’
একপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ড্রেনগুলো করে দেই। এটা আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু এগুলো সংরক্ষনের দায়িত্ব স্থানীয় বাসিন্দাদের। আমাদের দেশের মানুষ সচেতন নয়। তারা ড্রেনের মধ্যেই ময়লা আবর্জনা ফেলে থাকে। এতে ড্রেন আটকে যায় এবং বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আর আমাদের কাঝে এগুলো সংস্কারের জন্য আবেদন করা হলে বা কোথাও শুনে থাকলে সংস্কারের ব্যবস্থা নেই।’
এদিকে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লূৎফর রহমান স্বপনের সাথে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!