নারায়ণগঞ্জশনিবার , ১০ নভেম্বর ২০১৮
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

যুবদল কর্মী শফিকুলকে জামিনে বের করেনি এড. তৈমুর

Alokito Narayanganj24
নভেম্বর ১০, ২০১৮ ৯:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়নগঞ্জ ২৪ ডট নেট : নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার একটি অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া যুবদল কর্মী শফিকুল ইসলামকে ৪৬ মাসেও জামিনে বের করতে পারেন নি শফিকুলের আদর্শবান নেতা এড. তৈমুর আলম খন্দকার। অথচ টাকা দিতে না পারায় নিজ বলয়ের যুবদলের কর্মী শফিকুল ইসলামকে জামিন করায় নি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

অথচ তিনি সম্প্রতি মিডিয়াকে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীদের উচ্চ আদালতে বিনা পয়সায় নেতাকর্মীদের তিনি জামিন করাবেন। কিন্তু ৪৬ মাস অতিবাহিত হলেও জামিন হচ্ছেনা যুবদল কর্মী শফিকুল ইসলামের। অথচ শফিকুল দীর্ঘদিন যাবত তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গেই রাজনীতি করতেন। অভিযোগ ওঠেছে শফিকুল ইসলামের গরীব পরিবার তৈমূর আলম খন্দকারকে টাকা না দেয়ার কারনে ৪৬ মাসেও যুবদল কর্মীর জামিনের ব্যবস্থা করেননি। এমনকি তার জামিনের জন্য একবারও জামিনের আবেদন করেননি তৈমূর। যার কারনে এ মামলায় সকলে জামিনে থাকলেও যুবদল কর্মী ৪৬ মাস যাবত কারাগারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। শফিকুলের পরিবার গরীব হওয়ায় জেল খানায় গিয়ে দেখা সাক্ষাত করে কিছু দিতে না পারায় জেল কর্তৃক দেয়া খাবার খেয়ে জীবন যাপন করতে হচ্ছে।

মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার হয় যুবদল কর্মী শফিকুল ইসলাম ও শামীম মিয়া। পরদিন ১৩ জন বিএনপির নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করে তৎকালীন সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই আবিদ হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় শফিকুল ইসলামকে ১নং আসামি করা হয়।

এছাড়াও মামলায় আসামি রয়েছেন যুবদল নেতা শামীম, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রশিদুর রহমান রশু, মহানগর ছাত্রদলের বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিউদ্দীন রিয়াদ, যুবদল নেতা লিটন, বিএনপি নেতা আনোয়ার মাহামুদ বকুল, যুবদল নেতা রুহুল আমিন, ছাত্রদল নেতা জনি, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, বিএনপি নেতা ফারুক হোসেন, মেহেদী হাসান রাজু, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদ ও যুবদল নেতা মাহাবুব হাসান জুলহাসসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন নেতাকর্মী।

এদিকে জানা গেছে, শফিকুল ইসলামের জামিনের জন্য তার বাবা শাহাদাত হোসেন দ্বারস্থ হন তৈমূর আলম খন্দকারের। তিনি জামিন করাবেন বলে ঘুুরিয়েও জামিনের জন্য আবেদনও করেননি। এমনকি তার মামলা দেখবেন বলে বারবার শফিকুলের বাবাকে জানালেও তৈমূর আলম জামিনের ব্যবস্থা করেননি। টাকা না দেয়ার কারনেই তৈমূূর আলম গড়িমসি করছেন এমনটা বুঝতে পেরে পরবর্তীতে শফিকুলের বাবা হাল ছেড়ে দেন। শফিকুলের বাবা একজন হতদরিদ্র মানুষ।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি এড সাখাওয়াত হোসেন খান নিরীহ শফিকুলের পক্ষে একবার জামিন চান বিজ্ঞ আদালতে। কিন্তু জামিন না মনজুর হলে এখনো জেলহাজতে আছে শফিকুল।

কারাগারে থাকা শফিকুল ইসলাম শহর বিএনপির সাবেক একজন নেতার কাছে আকুতি মিনতি জানান তাকে জামিনে বের করার জন্য। ওই বিএনপি নেতাও শফিকুলকে আশ্বস্ত করে আসেন তৈমূর আলমকে অনুরোধ করবেন জামিনে বের করার জন্য। তৈমূর আলম খন্দকার আবারো আশ্বস্ত করেন জামিনের ব্যবস্থা করবেন। তাতেও জামিনের ব্যবস্থা না হলে বিষয়টি তাগিদের জন্য তৈমূর আলমের পিএস আক্তার হোসেন খোকন শাহকেও জানান ওই বিএনপি নেতা। এভাবে আরও বছর সময় কেটে যায়। তারপর তৈমূর আলমের সঙ্গে সার্বক্ষনিক থাকা জামাল সর্দারের কাছেও দ্বারস্থ হন ওই বিএনপি নেতা। শফিকুল ইসলাম মুলত তৈমূর আলমের ডাকেই মিটিং মিছিলে যোগ দিতেন। জামাল সর্দারের কাছে গিয়ে জামিনের তাগিদ দিতে বলেন। এভাবে শফিকুুুুলের কারাগারে কেটে গেল ৪৬ টি মাস। সর্বশেষ শফিকুল ইসলামের বাবা নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির একজন আইনজীবীকে আইনী সেবা পেতে দায়িত্ব দেন। গত ২৩ সেপ্টেম্বর শফিকুল ইসলামে জামিনের জন্য আবেদন করেন ওই আইনজীবী। আদালত শফিকুল ইসলামের জামিন না মঞ্জুর করে দেন। ফলে ৪৬ টি মাস পেরিয়ে গেলেও শফিকুল ইসলাম এখনও কারাগারে।

এদিকে নেতাকর্মীরা বলছেন- তৈমূর আলম খন্দকার ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের যে সব নেতাকর্মীরা মামলার আসামি হয়েছেন তাদের পক্ষে উচ্চ আদালতে তিনি বিনা ফিতে মামলা পরিচালনা করবেন। কিন্তু এমন ঘোষণা দিলেও তার বলয়ের নেতাকর্মীরাও তার কাছে মামলা নিয়ে যেতে চান না। মামলা নিয়ে গেলে তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। মুখে বিনা ফিতে আইনী লড়াইয়ের কথা বললেও মিডিয়ার মাধ্যমে এ ঘোষনা সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য বলে মনে করেন সাধারন নেতা কর্মীরা।তিনি বিনা ফিতে আইনি সেবা দেননা। এমনকি উচ্চ আদালতের কোন আদেশনামা নিম্ম আদালতে পাঠাতে ৫শ টাকা খরচ করে সেটাও পাঠাতে চান না তিনি। ফলে নেতাকর্মীরা জামিন পেলেও পরে তাদের বিপদে পড়তে হয়।

মাঝে মধ্যে তিনি নারায়ণগঞ্জ আদালতে আসেন। নিজের ব্যক্তিগত মামলার জন্য আসলেও তিনি দাবি করেন তিনি নেতাকর্মীদের মামলার শুনানি করতে এসেছেন। নিজের ব্যক্তিগত মামলা পরিচালনা করতে এসে যদি দেখেন বিএনপির কোন নেতাকর্মীর মামলার শুনানি চলছে তখনি তিনি শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। তবে তার একান্ত কাছের নেতাকর্মী হলে নারায়ণগঞ্জে আসেন তাও সব সময় নয়। যাদের পক্ষে না দাড়ালেই নয় তাদের পক্ষেই তিনি থাকেন। তাই শফিকুল ইসলামের মত কর্মী ৪৬ মাস যাবত কারাগারে থাকলেও তাদের মত কর্মীদের জামিনে আগ্রহী নন তৈমূর।

শুধু তৈমুর নন জেলার বিএনপি পন্থী অনেক আইনজীবীও শফিকুলকে জামিনে বের করতে উদ্যোগ নেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!