আলোকিত নারায়নগঞ্জ:ফতুল্লায় সেবা-যত্ন করার শর্তে ব্যবসায়ী জামাল হোসেন তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম শাহানাজকে বাড়িসহ প্রায় ৪ শতাংশ জমি লিখে দেন। জমি লিখে দেওয়ার পর থেকে স্ত্রী আর স্বামীর সেবা-যত্ন না করে বিভিন্ন যুবকের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়।
একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন ওই স্ত্রীকে নিজ বাড়িতেই অনৈতিক কাজে আটক করেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে জামাল উদ্দিন তার স্ত্রীকে আইনগতভাবে তালাক প্রদান করেন।
এরপর স্ত্রী শাহানাজকে লিখে দেওয়া বাড়িসহ জমির দলিল বাতিলে আদালতে মামলা করেন জামাল হোসেন। এর মধ্যে একাধিকবার সেই বাড়িসহ জমি বিক্রির জন্য সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে শাহানাজ চেষ্টা চালিয়েছেন। এতে জমিটি বিক্রি না করতে আদালতের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছেন জামাল হোসেন। তারপরও ১ ডিসেম্বর দলবল নিয়ে ওই বাড়িতে আসেন শাহানাজ।
জামাল হোসেন ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে এবং ফাতেমা বেগম শাহানাজ একই এলাকার মৃত আ. সাত্তারের মেয়ে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০০০ সালের ১১ জানুয়ারি শাহানাজকে বিয়ে করেন জামাল হোসেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি ছেলে ও একটি মেয়েসন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকেই শাহানাজ অবাধ্য হয়ে চলাফেরা করেন।
জামাল হোসেন জানান, ২০ বছর সংসার করার পর কোনো পুরুষ তার স্ত্রীকে সাধারণ বিষয় নিয়ে তালাক দেয় না। সে অপরাধ করে সমাজে আমাকে সমালোচিত করেছে। এরপর আমাকে জেল খাটিয়েছে। এখনো আমাকে হয়রানি করছে।
আপনার মতামত লিখুন........