নারায়ণগঞ্জবুধবার , ৫ মে ২০২১
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

সেই পথশিশু মারুফ এখন নারায়ণগঞ্জ আশ্রয় কেন্দ্রে

Alokito Narayanganj24
মে ৫, ২০২১ ১:২৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এলাকা থেকে ১৯ এপ্রিল দুপুরে ফেসবুকে লাইভ করেন সময়ের কণ্ঠস্বর নামের একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রধান প্রতিবেদক পলাশ মল্লিক।
তার কথা বলা প্রায় শেষের দিকে ক্যামেরার ফ্রেমে ঢুকে পড়ে পথশিশু মারুফ। সে বলে ওঠে, ‘এই যে লকডাউন দিছে, মানুষ খাবে কী ? সামনে ঈদ। এই যে মাননীয় মন্ত্রী একটা লকডাউন দিছে, এটা ভুয়া। থ্যাঙ্কু ।’
এমন ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড়, আলোচনা সমালোচনার খোড়াকে পরিণত হয় এই পথশিশু মারুফ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়া মারুফকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এরপর শিশুটিকে আদালতের আদেশের ভিত্তিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মিরপুরের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
সেখান থেকে গত সপ্তাহে তাকে পাঠানো হয় নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল আশ্রয়কেন্দ্রে।
এর আগে পুরান ঢাকার জজকোর্ট এলাকা থেকে গত ২৪ এপ্রিল মারুফকে উদ্ধার করে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে শিশুটিকে অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
এমন আলোচনা সমালোচনার পর পথশিশু মারুফ কে উদ্ধার করে আদালতে পাঠানোর পর বিজ্ঞ বিচারক শিশু মারুফ কে সরকারি নিরাপদ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন ।
এরপর মারুফকে রাখা হয়েছে নারায়ণগঞ্জের গোদানাইল আশ্রয়কেন্দ্রে।
এই আশ্রয়কেন্দ্রের উপপরিচালক কামরুন নাহার আরজু সোমবার (৩ মে) জানান, অন্য শিশুদের মতোই মারুফকে খাবার, পড়াশোনা ও খেলাধুলার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
কামরুন নাহার বলেন, ‘এই কেন্দ্রে থাকা ২০৯ শিশুর মতোই মারুফ সকালে ঘুম থেকে উঠে ইসলামি শিক্ষা (আরবি) পড়ছে। এরপরে সেখান থেকে ফিরে নাস্তা করে তার নির্ধারিত হাউসে থাকছে। সারাদিন খেলাধুলা, পুকুরে সাতার কাঁটা ও আশ্রয়কেন্দ্রের সহপাঠীদের সঙ্গে সময় পার করছে শিশুটি।’
করোনাভাইরাসের কারণে আশ্রয়কেন্দ্রের স্কুল এখন বন্ধ।
কামরুন নাহার আরো জানান, কেন্দ্রে যে নিয়ম রয়েছে সেটি মেনেই শিশুরা ভেতরে চলাফেরা করছে। মারুফও এখানে আসার পর নিয়ম মানছে।
কামরুন নাহার বলেন, ‘ভবঘুরে শিশুদের এখানে রাখা হয়। বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমে তারা এখানে আসে। এই কেন্দ্রে তাদের শিক্ষার পাশাপাশি পরিচর্যা করা হয়। আমরা শিশুদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করি। কারও পরিচয় শনাক্ত করা গেলে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়।’
এ আশ্রয়কেন্দ্রে দুটি গেটে ১০ জন নিরাপত্তাকর্মী দিন-রাত পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করেন।
মো. আশিক নামের এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘ফেসবুকে মারুফকে প্রথম দেখেছি। তবে কখনও সে এখানে আসবে ভাবিনি। এখানে আসার পর মারুফের সঙ্গে কয়েকবার কথা হয়েছে।
‘সোমবার দুপুরেও দেখেছি মারুফ ভেতরে এক সহপাঠীর কাঁধে হাত দিয়ে হাঁটছে। সকালে তাকে খেলতে দেখেছি। এখানে আসার পর তাকে নতুন পোশাক দেয়া হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।’
সমাজসেবা অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জের উপপরিচালক আসাদুজ্জামান সরদার বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঢাকা থেকে মারুফকে এ কেন্দ্রে পাঠিয়েছে। এখানে থাকা অন্য শিশুদের মতো তাকেও যত্ন করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি এখানে তার মানসিক পরিবর্তন পরিবর্তন ঘটবে।’
‘শিশু মারুফকেও বাড়তি যত্নের মধ্যে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া তাকে যেন মাদকের নেশা আর তাড়া না করে বেড়ায়, সে জন্য খেলাধুলার পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চার অনুশীলন করানো হচ্ছে।’
নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!