আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীর বাইরে বিভিন্ন হোটেল রেষ্টুরেন্টে ও ডিপার্টমেন্ট ষ্টোরে ভারতীয় রোগবাহী গরু/ জলহস্তির মাংস বিক্রি করছে বলে জানা গেছে।
একটি অসাধু চক্র নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য ভারতীয় গরুর/ জলহস্তির মাংস কমদামে বিক্রি করে থাকে।
অপর দিকে হোটেল,রেষ্টুরেন্ট ও ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরের মালিকগন কমদামে কিনে বেশী দামে বিক্রির জন্য রোগবাহী ও নিন্মমানের মাংস উচ্চ দামে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
দিগুবাবুর বাজার,দেওভোগ মাদ্রাসা রোড বাজার ঘুরে জানা যায়,ভয়ংকর মাংশ বিক্রি চক্রের কথা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিগুবাবু বাজারের মাংস বিক্রেতারা জানান,প্রতিদিন ভোরে চট্টগ্রাম হতে প্যাকেটজাত করে একটি চক্র ভারতীয় নিন্মমানের ও রোগবাহী গরুর মাংশ বিক্রি করে থাকে। প্রতি কেজি মাংশ ৩৭০/৩৮০ টাকা কেজি ধরে শহর ও শহরতলীর বাইরে বিভিন্ন বিরানীর দোকান,হোটেল রেস্তোরা ও ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর গুলোতে সরবরাহ করে থাকে। গরুর মাংশের সাথে জলহস্তির মাংশ ও বিক্রি করে থাকে। যা সাধারণ মানুষের বোঝার উপায় নেই।
মাংশ বিক্রেতা রফিক ( ছদ্মনাম) বলেন,সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ভোরে বিরানীর দোকান,হোটেল রেষ্টুরেন্ট ও ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরের সামনে অবস্থান করলে ঐ চক্রটিকে ধরতে পারবে বলে মনে করেন। তিনি আরো বলেন,আমরা ৫৫০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করতে হিমশিম খাই। সামান্য লাভে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য সম্মত মাংস দিয়ে থাকি। তারা যে মাংস বিক্রি করছে সেটার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় কিনা সন্দেহ আছে ।
প্রকৃত মাংস বিক্রেতারা বলেন,সাধারণ মানুষ সহজে বুঝতে পারেননা তারা কি খাচ্ছেন।
ঐ সমস্ত মাংস খেলে ক্যান্সার সহ নানান ধরনের রোগে আক্রান্ত হবে। তাদের উচিত ভালভাবে জেনে ও পরীক্ষা করে মাংশস ও খাবার খাওয়া।
যারা ঐ সমস্ত মাংস বিক্রি করছে তাদেরকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে সোপর্দ করতে জনসাধারণের প্রতি আহবান জানান দিগুবাবু বাজারের মাংস বিক্রেতারা।
আপনার মতামত লিখুন........