আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : করোনায় আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের জামতলায় ব্রাদার্স রোড এলাকায় এক ব্যক্তির (৬০) মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোস্তাফা আলী, স্থানীয় ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বাড়িটি অঘোষিত লকডাউন করে দিয়েছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, জামতলার একজন কুর্মিটোলা হাসপাতালে মারা গেছেন। তার শরীরে করোনাভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোস্তাফা আলী জানান, ওই ব্যক্তি ৪ এপ্রিল অসুস্থ বোধ করেন। তাকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলেও পরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৫ এপ্রিল বিকেলে জানানো হয় তিনি মারা গেছেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি ছিলাম। আপাতত ব্রাদার্স রোডের ৫তলা ভবনের ৮টি পরিবারসহ পুরো বাড়ির সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, নারায়ণগঞ্জে একজন মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি।
প্রসঙ্গত নারায়ণগঞ্জে এ পর্যন্ত এগারো জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে একজন বৃদ্ধ ও একজন বৃদ্ধা নারী মারা গেছে। এছাড়া আক্রান্ত ছয় জনের অবস্থা ভালো নেই। নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার রসুলবাগ শহরের পাইকপাড়া সহ প্রায় ছয় থেকে সাতটি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। এসব এলাকার প্রায় আটশ পরিবারকে লকডাউন এর আওতায় আনা হয়েছে। অপরদিকে মানিকগঞ্জ তাবলীগ থেকে ফিরে এসে মেয়ের বাড়িতে ফতুল্লার লামাপাড়ায় প্রবেশ করেন বাবা। তিনি এসেই কর্মে আক্রান্ত হন ওই পরিবার লক অফ ডাউন করা হয়েছে।এছাড়া নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, সদর উপজেলার( ফতুল্লা, সদর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা) এলাকাকে সোমবার থেকে লকডাউন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন........