আলোকিত নারায়ণগঞ্জ: ফতুল্লা থানাধীন ধর্মগঞ্জ আমতলা এলাকায় আপন ফুফার হাতে ৪ বছরের শিশু (মার্জিয়া) অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।রোববার (১৪ জুন) সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন ধর্মগঞ্জ আমতলা এলাকা থেকে ওই শিশুকে অপহরন করে তার ফুফা চাঁন ফকির ও তার সহযোগী রাকিব। তারই প্রেক্ষিতে অপহরীত মেয়ে (মার্জিয়ার) বাবা মো. গোলাম মাওলা সোমবার (১৫ই জুন) থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মো. গোলাম মাওলা ফতুল্লা থানাধীন ধর্মগঞ্জ আমতলা এলাকার দ্বিন মোহাম্মদ এর ৫নং বাড়ির ভাড়াটিয়া। গত ১৪ই জুন সকালে ভোর ৫টায় সম্পর্কে তার বোনের জামাই মো. চাঁন মিয়া (৩৫) ও তার সহোযোগী রাকিব কে নিয়ে বাড়িতে বেড়াতে আসে।
পরবর্তীতে দুপুরে চাঁন মিয়া আমার কাছে কিছু টাকা দাবি করেন। আমি টাকা দিতে অপরোগতা প্রকাশ করলে তিনি আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং অনেক ভয়ভীতি প্রদান করে। এরপরে আমরা স্বামী স্ত্রী বিবাদীকে রেখে কর্মস্থলে চলে যাই। বিকাল ৫ টায় কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরে দেখি আমার বড় মেয়ে মোসা. মার্জিয়া আক্তার (৪.৩) বছর সহ বিবাদী আমার বোন জামাই ও তার সহোযোগী বাসায় নেই। এরপরে আমার ছোট মেয়ে এবং আশাপাশে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি তারা আমার মেয়েকে বাসা থেকে অন্যত্র কোথাও নিয়ে গেছে। এরপরে থানায় আমরা একটি অভিযোগ দাযের করি।
এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা গোলাম মাওলা বলেন, বিবাদী চাঁন মিয়া আমার কাছে প্রায় সময় টাকা দাবি করেন। তাকে টাকা না দিলে তিনি একপর্যায়ে আমার মেয়ে অপহরোনের কথাও বলে। পরে ব্যাপারটি ক্ষান্ত হয়। কিন্তু তারা গত ১৪ই জুন রবিবার আমার বাসায় আসে তখন সে আবার টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় তিনি আমাকে নানা রকমের হুমকিও প্রদান করেন। একসময় আমরা কর্মস্থলে চলে গেলে সে আমার বড় মেয়েকে নিয়ে চলে যায়। তখন আমরা থানায় একটি অভিযোগ করি। এখন পযন্ত আমরা আমার মেয়েকে পাইনি। তবে আমার একটি অনুরোধ আমার মেয়েকে যে কোন ভাবে আমরা ফিরে পেতে চাই।
এ ব্যাপারে উপ পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবিরকে এই নাম্বারে (০১৭১১২৮৭৩৩৮) একাধীক বার ফোন করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।।
তবে এ ব্যাপারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন ফোনটি রিসিভ করেন। এবং আশ্বাস দিয়ে বলেন, যেকোন পরিস্থিতিতে মেয়েটিকে খুজে বের করার চেষ্টা করবো। শুধু পরিবারের মানুষের একটু সাহায্যের প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন........