নারায়ণগঞ্জবৃহস্পতিবার , ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

সরকারী এ্যাম্বুলেন্স ব্যক্তিগত কাজে “লিখলে কি হবে” এমপি সাব সব জানেন?

Alokito Narayanganj24
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯ ৯:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট : বুধবার মধ্যরাত ১১টা ৩২ মিনিট। নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক অমিত গুরুতর অসুস্থ্য আরজু (৫৫) এর অবস্থা অচেতন ও পালস্ পাওয়া না যাওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ সময় এ্যাম্বুলেন্স কোথায়? কোথাও নাই সরকারী এ্যাম্বুলেন্স ও ড্রাইভার দুলাল। এ্যাম্বুলেন্সসহ ড্রাইভারের খোজ পাওয়া গেল। শহরের প্রেসিডেন্ট রোড এলাকার মেডিপ্লাসের সামনে।

এ্যাম্বুলেন্স এখানে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে দুলাল জানায়, রোগী আছে তাই। দুলালকে থামিয়ে দিয়ে মেডিপ্লাসের দারোয়ান অকপটে অনেকের উপস্থিতিতে বলেন ডাঃ নাসিরকে তো এই সময় প্রতিদিনই নিয়ে ঢাকা যায় দুলাল। নানাভাবে আকার ঈঙ্গিতে দুলাল এই দারোয়ানকে থামানোর চেষ্টা করলেও একটানা বলেই ফেলেন খানপুর হাসপাতালের সাবেক আরপি ডাঃ নাসির।

প্রায় ৫/৭ বছর যাবৎ প্রতিদিন মধ্যরাতে এই গাড়ী নিয়েই ঢাকার মিডফোর্ডে যায়।

এমন ঘটনা আড়াল করতে ড্রাইভার দুলাল নানাভাবে অপচেষ্টার পর প্রতিবেদক দূরে চলে যাবার পর মিটফোর্ড হাসপাতালের সহযোগি অধ্যাপক নাসিরুল ইসলাম এক দৌড়ে মেডিপ্লাস ক্লিনিক থেকে নেমে এম্বুলেন্সে উঠার সময় আবার প্রতিবেদকের মুখোমুখি হয়েই বলতে থাকে, “সাংবাদিকরা লেখলে কি হয় ! লিখলে লিখুক দেখি আমাদের থামায় কেমনে। এই ঘটনাতো এমপি সাহেবও জানে।

এ বিষয়ে তাৎক্ষনিকভাবেই নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের আরএমও ডাঃ সামছুদ্দোহা সঞ্চয়ের সাথে একাধিকবার এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি তো বিষয়টি জানি না। খোজ খবর নিয়ে দেখি কি করা যায় । হাসপাতালের সাবেক আরপি এবং বর্তমানে মিডফোর্ড হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক নাসিরুল ইসলাম এভাবে সরকারী এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করতে পারে না ব্যক্তিগত কাজে।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে অনেকেই বলেন, এই চক্রটির স্বার্থে আঘাত লাগলে কি ভয়ংকর হতে পারে তা কেউ জানেন না। ডাঃ নাসিরুল ইসলামের দুটি ব্যক্তিগত গাড়ী থাকলেও এই গাড়ী ব্যবহার না করে সরকারী এ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘদন যাবৎ ব্যবহার করে যাচ্ছে। যাহারা রোগীর সকালের নাস্তার পাউরুটি, কলা ও সিদ্ধ ডিম চুরি করতে পারে তাদের দ্বারা এ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা স্বাভাবিক বিষয় ।

এই চক্রের হোতারা নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের এঁটো খাবার কুড়িয়ে আনতে পারে তারা আর যাই হোক ভালো কিছু আশা করা যায় না। এই চক্রটির অপরাধ থামাতে হলে যে এমপির নাম ব্যবহার করেছে তাকেই শক্ত হাতে হাসপাতালের হাল ধরতে হবে। হাসপাতালের তৈলবাজ চোর চক্রটি এমপিদেরকে ম্যানেজ করেই এমন অপকর্ম করার সাহস করছে। এখানে রোগী মরলে কার কি হবে?

হাসপাতালের মূমুর্ষ রোগী ফেলে সরকারী এ্যাম্বুলেন্স শহরের মেডিষ্টার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এমন কাজে সকল সময় ব্যবহর করে আসছে। এছাড়াও ড্রাইভার দুলাল চক্র মাদক বহন, মেডিপ্লাসের মালামাল বহনের অভিযোগে অসংখ্যবার পুলিশের হাতে আটক হলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সরকারী সকল সুবিধা অনৈতিকভাবে গ্রহণ করে যাচ্ছে অপরাধী এই চক্রটি।

সবশেষ গত ২০১৭ সালের ১৬ আগষ্ট এই একই এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা থেকে অসাধুচক্রের মালিকানাধীন মেডিপ্লাস ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালামাল বহন করলে পুলিশ এ্যাম্বুলেন্সসহ ড্রাইভার দুলালকে আটক করে মামলা দায়ের করলেও টনক নড়েনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!