আলোকিত নারায়ণগঞ্জ ২৪ ডট নেট : সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম।
উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক দলীয় হাইকমান্ডের কাছে পাঠানো মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় মাহফুজুর রহমান কালামেরও নাম ছিল।
কিন্তু অজানা কারণে মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন তিনি। এ নিয়ে শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন মাহফুজুর রহমান কালাম। যা কিছুক্ষণের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে মাহফুজুর রহমান কালাম লিখেন, সোনারগাঁয়ে নৌকার মাঝি হওয়ার যোগ্যতা হলো- যারা সারাজীবন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ করেছে তাদেরকে অওয়ামী লীগার বলে তিরস্কার করা। ২০০১ সালে নৌকা প্রতীক না পেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গালাগালি করা। লাথি মেরে নৌকা ভেঙে ফেলা। নৌকার তোরণ পুড়িয়ে দিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে বহিষ্কার হওয়া। ২০০৮ সালে ১/১১-এর সময় মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের জন্য তথাকথিত ‘সুশাসনের জন্য সংস্কার’র নামে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার জন্য জনমত সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সভা-সেমিনার করা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করলে নৌকা প্রতীক পাওয়া যায়।
আর অযোগ্যতা হলো- ছাত্রজীবনে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন করে বারবার হামলা-মামলার শিকার হওয়া। ১৯৯১-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সারের দাবিতে ১৭ জন কৃষককে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ এবং মাগুরায় ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে আন্দোলন করতে যেয়ে বারবার গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করা। ২০০১-২০০৬ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে আন্দোলন করতে যেয়ে মামলার ১নং আসামি হওয়া। এসআই হত্যা মামলার ১নং আসামি হওয়া। চারটি দ্রুত বিচার মামলার ১নং আসামি হওয়া। পুলিশের ১৪টি মিথ্যা মামলার আসামি হওয়া। যার সর্বশেষ শিকার আমার ৭৫ বছর বয়সী মা।
মাহফুজুর রহমান কালাম আরও লিখেছেন, ২০০৩ সালে আমার মায়ের বালিশের নিচে ভাঙা একটি পাইপগান দিয়ে মিথ্যা অস্ত্র মামলা সাজিয়ে সারারাত আমার মাকে মানসিক অত্যাচার করা হয়। তখনই আমার মা ব্রেইন স্ট্রোক করেন। সেই থেকে আমার মা প্যারালাইসিস অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আমার ছোট ভাই মাসুমকে পাঁচবার গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে অমানবিকভাবে শারীরিক নির্যাতন করে কোমড়ের হাড় ভেঙে ফেলা হয়। যার কারণে এখনো সে ঠিকভাবে হাঁটতে পারে না। আমার এসব অযোগ্যতার জন্যই আমি আজ নৌকার অযোগ্য। তাই দলের মনোনয়ন পাইনি আমি।
আপনার মতামত লিখুন........