আলোকিত নারায়ণগঞ্জঃ অন্যের ঋণের জিম্মাদার হয়েছিলেন সাত্তার মিয়া (৫০)। কিন্তু তা পরিশোধ না করেই পালিয়ে যান ঋণগ্রহীতা। টাকা পরিশোধের জন্য পেশায় চা দোকানি সাত্তারকে অপমান করেন সমবায় সমিতির লোকজন। সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার আড়িয়াবো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আত্মহননকারী সাত্তার মিয়ার বাড়ি নেত্রকোনার ভুট্টোপাড়া এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আড়িয়াবো এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদ জানান, শুক্রবার স্থানীয়রা সাত্তার মিয়ার মরদেহ একটি পরিত্যক্ত জায়গায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশ তার শার্টের পকেটে একটি চিরকুট দেখতে পায়।
চিরকুটের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ৫-৬ মাস আগে আড়িয়াবো এলাকার বাহাউদ্দিনের মালিকানাধীন সততা বহুমুখী সমবায় সমিতি থেকে সোহবার হোসেন নামে নেত্রকোনা জেলার এক ব্যক্তি ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেন। সেই ঋণের জিম্মাদার ছিলেন সাত্তার মিয়া। দুই মাস আগে সোহরাব হোসেন ঋণের টাকা পরিশোধ না করে পালিয়ে যান।
এরপর থেকে প্রায়ই ওই সমবায় সমিতির মালিক বাহাউদ্দিন ও ম্যানেজার সাইফুল তাকে ডেকে নিয়ে ওই টাকার জন্য চাপ দিত। গত বুধবার আবারও বাহাউদ্দিন ও সাইফুল সমিতির অফিসে তাকে ডেকে নিয়ে ঋণের টাকার জন্য সাত্তার মিয়াকে অপমান করেন। সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার তিনি আত্মহত্যা করেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গ-সার্কেল) মাহিন ফরাজী বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। তার পকেটে একটি চিরকুট ছিল। অন্যের ঋণের টাকার জন্য জিম্মাদার হিসাবে তাকে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি ও অপমান করা হয়। সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন।’
আপনার মতামত লিখুন........