নারায়ণগঞ্জবৃহস্পতিবার , ১৮ এপ্রিল ২০১৯
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

পুলিশকে পেটানোর ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

Alokito Narayanganj24
এপ্রিল ১৮, ২০১৯ ১০:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ইভটিজিংয়ের অভিযোগে আটক যুবককে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশ ফাঁড়ির ভেতরে প্রবেশ করে তিন পুলিশকে পেটানোর ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে মারধরের শিকার গোপালদী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সহকারী টাউন উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) মো. মামুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় গোপালদী পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সাহা (২৫) ও ছাত্রলীগ কর্মী দিদার ইসলামের (১৮) নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ইভটিজিংয়ের অভিযোগে এইচএসসি পরীক্ষার্থী দিদার ইসলামকে সন্দেহবশত গোপালদী বাজারের কলেজ রোড থেকে আটক করে পুলিশ। এ খবর পেয়ে গোপালদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সাহা তাকে ছাড়িয়ে আনতে গোপালদী তদন্তকেন্দ্রে যান। এ সময় পুলিশ দিদার ইসলামকে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে সুজয় পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এটিএসআই মো. মামুন প্রতিবাদ করলে সুজয় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর শুরু করেন। এ সময় সুজয় মুঠোফোনে কল দিলে মুহূর্তের মধ্যে ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এসে পুলিশের ওপর হামলা চালান। পরে আড়াইহাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে সঙ্গে করে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুজয় ও দিদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় এটিএসআই মো. মামুন, কনস্টেবল আবুল বাশার ও ইমরান আহত হন। এরই মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা ও আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এটিএসআই মামুন বলেন, গোপালদী এলাকার আশপাশ থেকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ আসছিল অনেকদিন থেকেই। বুধবার সকালে একটি মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখে দিদারকে আটক করে তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। দিদার ছাত্রলীগ নেতা সুজয়কে ফোন করে তদন্তকেন্দ্রে আসতে বলে। সুজয় এসেই ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে ঘুষি দিয়ে ফেলে দেয়। এরপর দুই কনস্টেবল এগিয়ে আসলে সুজয় ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন আমাদের পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় মামলা না করে দিদার ও সুজয়কে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

আড়াইহাজার থানা পুলিশের ওসি আক্তার হোসেন বলেন, আইনিভাবে তাদের দুইজনকে ছাড়া হয়েছে। সুজয় অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য ও দিদারকে পরীক্ষার জন্য ছাড়া হয়েছে। এখন যেহেতু মামলা হয়েছে যেকেনো সময় তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!