আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি মনিরুল ইসলাম ও জেলা জাতীয় পার্টির নেতা আবু জাহেলের উপস্থিতিতে বন্দরে আল-আমিন জামে মসজিদের সাবেক কমিটির সদস্যরা বর্তমান কমিটির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। শনিবার ১ জুন দুপুরে বিএম স্কুল এন্ড কলেজের হলরুমে এ ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ২২ মার্চ শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় আল-আমিন এলাকাবাসী এবং বাড়িওয়ালাদের সম্মতিক্রমে আগের কমিটি বিলপ্তি ঘোষণা করেন ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ ভূইয়া। পরে আল-আমিন এলাকাবাসী আলোচনা করে সকলের সম্মতিক্রমে গত মাসের ১১ মে শনিবার ৩ জনকে উপদেষ্টা,২০ জনকে উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য এবং হাজী মোজাম্মেল হককে সভাপতি ও লুৎফর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির পরিচিতি এবং নামের তালিকাসহ বন্দর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পিন্টু বেপারী ও বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ রফিকুল ইসলামকে ফুলেল অভর্থ্যনা জানান।
এরপর থেকে বিলুপ্তি কমিটির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক সারজাহান বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ দিয়ে থাকেন। তার প্রেক্ষিতে ১ জুন শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি মনিরুল ইসলাম সাবেক ও বর্তমান কমিটির সদস্যদের নিয়ে সমস্যা সমাধান করার জন্য বিএম স্কুলে বসে। পরে এক পর্যায়ে বালুদস্যু চাঁন মিয়া বর্তমান কমিটির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। প্রায় ১০ মিনিট এর মতো তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ।
পরিশেষে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম সাবেক ও বর্তমান কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঈদের পরে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সাবেক ও বর্তমান কমিটির লোকজনকে নিয়ে বসে সমাধান করে দিবো। প্রয়োজনে ভোটের মাধ্যমে আমরা নির্বাচন দিবো। এখন যারা বেতনভূক্ত আছে তাদের বাড়ির হোল্ডিং নাম্বারসহ নামের তালিকা তৈরি করবেন। যেহেতু নয় মাস ধরে মসজিদ কমিটি নিয়ে সমস্যা এখন আর নতুন করে কোন সদস্য নেয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন পরে ঈদ, হুজুরের বেতন দিতে হবে তাই বর্তমান যারা কমিটি পরিচালনা করছেন তারাই সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পরিচালনা করবেন। সাথে সাবেক কমিটির দুজন লোক নিয়ে নিবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আজহারুল ইসলাম, বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন........