নারায়ণগঞ্জবৃহস্পতিবার , ১১ অক্টোবর ২০১৮
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

বন্দরে ২ লাখ টাকা দিলেই স্কুলে দপ্তরীর চাকুরী নিশ্চিত!!

alokitonarayanganj
অক্টোবর ১১, ২০১৮ ৮:১৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়নগঞ্জ ২৪ ডট নেট : ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতির মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলাধীন ৬১নং হাজী আব্দুস ছালেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। তবে বিদ্যালয়ে দপ্তরী নিয়োগে ২ লাখ টাকা নিয়ে শাকিল নামের এক ব্যক্তিকে চাকুরী নিশ্চিত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। নগদ টাকা গ্রহণ, ব্যাক্তিগত পছন্দের লোকজনকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে এবং যোগ্যতা বা বয়সে উপযুক্ত কিনা এসব বিষয় দেখেনি নিয়োগ কমিটি।

জানা গেছে, বন্দর উপজেলাধীন ৬১নং হাজী আব্দুস ছালেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষার আগেই ২ লাখ টাকার বিনিময়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সেলিম আহাম্মদ মাস্টারের ছেলে শাকিলকে বিদ্যালয়েই নিশ্চিত করা হয় দপ্তরী চাকরীর জন্য। শাকিল দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের মোতোয়ালি হিসেবে কর্মরত আছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুলের সহকারী শিক্ষক বলেন, প্রধান শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সেলিম তারা দুজনে মিলে শাকিলকে ২ লাখ টাকা দিতে বলে তাহলে বিদ্যালয়েই দপ্তরী চাকুরী নিশ্চিত করা হবে। রাতেই শাকিলের বাসায় বসে এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছেন। তবে চাকুরী পেতে বিভিন্ন বাড়ি থেকে টাকা হাওলাত করেছে বলে এলাকাবাসী জানান।

এ বিষয়ে ৬১নং হাজী আব্দুস ছালেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন সুলতানা এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, শাকিল এর কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হয়নি এবং এই স্কুল থেকে ৩ জনের নামের লিষ্ট বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দিছি। একজন প্রধান শিক্ষিকা হয়ে এধরনের অন্যায় করতে পারে নাকি বলেন। প্রধান শিক্ষিকার কাছে আরো দুই জন ছেলের নাম জানতে চাইলে সে বলে আমি এখন বাসায় নাম বলতে পারবো না। আপনি শাকিলকে জিজ্ঞেস করেন বলে ফোন কেটে দেয়।

৬১নং হাজী আব্দুস ছালেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সেলিম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমি দীর্ঘ দেড় বছর যাবৎ স্কুলের সভাপতির দায়িত্বে আছি আজও পর্যন্ত কেউ বলতে পারবে না আমি কার কাছ থেকে ১ টাকাও নিয়েছি। বরং বন্দর উপজেলার মধ্যে সব চেয়ে বেশি উন্নয়ন আমি এই স্কুলে করেছি। প্রয়োজনে আপনি এলাকায় এসে খবর নেন। আপনাকে যে আমার বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকার অভিযোগ করেছে এটা সম্পর্ন মিথ্যা যদি প্রমান করতে পারেন আমি সভাপতি পদ থেকে রিজেন নিবো।

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু ব্যাপারীর সাথে কথা বললে তিনি জানান যদি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বা সভাপতি ওখানে বসে ২ লাখ বা ১০ লাখ টাকা নেয় চাকুরীর নাম করে তাহলে তাদের বিষয়। চাকুরী তো তারা দিবে না, চাকুরী দিব আমরা। কতটি স্কুলে দপ্তরী চাকরীর নিয়োগ দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা ১৯টি স্কুলে নিয়োগ দিচ্ছি তবে পরীক্ষা শেষ এখন রেজাল্ট দিবে। যে পাশ করবে তাকেই নিয়োগ দিবো।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!