নারায়ণগঞ্জমঙ্গলবার , ২ এপ্রিল ২০১৯
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

বান্ধবী নিয়ে পিপির পুত্রের মদের আড্ডা-মারামারি, আটক

Alokito Narayanganj24
এপ্রিল ২, ২০১৯ ৯:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াজেদ আলী খোকনের পুত্রকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। দুই বন্ধু মিলে এক বান্ধবীকে নিয়ে মদপানকালে ঝগড়ার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পিপির ছেলের বান্ধবী ও এক বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (০১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে চাষাড়া বালুরমাঠ নিজ বাসভবন থেকে সদর থানা পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। ওই সময় দুজনকে পুলিশ আটক করেন। এবং আহত পিপির ছেলে আকিব সাদাতকে (২০) চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়।

আটককৃত দুজনের একজন আকিবের বন্ধু ইয়ামিন (২০)। সে নগরীর খানপুর এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন পোকনের ছেলে। অপরজন তাদের বান্ধবী সায়মা (২০)। সে বালুমাঠ এলাকার বিশিষ্ট সূতা ব্যবসায়ী বাদশার ছোট ভাই আবদুর রবের মেয়ে।

আটককৃত ইয়ামিন জানায়, পিপি ওয়াজেদ আলী খোকনের নিজ বাসভবন বালুর মাঠ এলাকায়। সে বাসার চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে আকিব, বন্ধু ইয়ামিন ও বান্ধবী সায়মা প্রায়ই মদ পান করে। ঘটনার দিনও তারা মদ পান করে। মদ পানের এক পর্যায়ে আকিবের হাত কেটে গেলে ঘটনার সৃষ্টি হয়।

অপরদিকে এলাকাবাসী জানান, পিপির বাড়ির চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে তুমুল হট্টগোলের শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা ওয়াজেদ আলী খোকনকে অবহিত করে। এমন হট্টগোলের নেপথ্যে কি ঘটছে তা জানতে ওয়াজেদ আলী খোকন চতুর্থ তলায় ছুটে যান। অনেক চেষ্টা করেও দরজা খুলতে ব্যর্থ হয়ে সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

পুলিশ দীর্ঘ চেষ্টার পর ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে আকিব সাদত, বন্ধু ইয়ামিন ও তাদের বান্ধবী সায়মাকে উদ্ধার করলেও পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন তার পুত্রকে খানপুর ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ খবর পেয়ে সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি চন্দন শীলসহ অনেকেই হাসপাতালে ছুটে আসেন। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার ডা: জাহাঙ্গির আলমও মধ্যরাতে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এসে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান মদ্যপানে অসুস্থ আকিব সাদতকে।

হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সারোয়ার হোসেন বলেন, আকিব সাদত গুরুতর আহত নয়। তার হাত সামান্য কেঁটে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে মদপানের পর কোনো কাচ জাতীয় কিছুতে আঘাত পেয়েছে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের নির্দেশে মদ্যপান করা ইয়ামিনকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়।

সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা ইয়ামিন স্বীকার করে, ‘সে ও আকিব এবং বান্দবী সায়মা বিদেশী মদের সাথে কোক মিশিয়ে পান করেছে।’ এসময় ইয়ামিন অপকপটেই জানায়, তারা প্রায় প্রতিদিন ওয়াজেদ আলী খোকনের বাড়িতে মদ্যপানের আসরে মিলিত হয়।

ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের কয়েকজন সদস্য জানান, ‘মদ ও নারী কেলেংকারীর ঘটানায় পিপির বাড়িতে এমন লঙ্কাকাণ্ড দেখে আমরা হতবাক। যে দৃশ্য আমরা দেখেছি তা ভাষায় প্রকাশ করাও যায় না।’

ঘটনার বিষয়ে উপ-পরিদর্শক সাব্বির খান বলেন, মধ্যরাতে পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন আটককৃতদের ছাড়াতে এসেছিলেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়ে দেয়ায় তিনি ফিরে গেছেন।

এ ব্যাপারে পিপি ওয়াজে আলী খোকন বলেন, আমি বিস্তারিত কিছু জানি না। আমার ছেলে সুস্থ হলে সব জানতে পারবো।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানার দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তাই যাচাই বাছাই করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে কিছু সময় লাগবে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!