নারায়ণগঞ্জশুক্রবার , ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

ভঙ্গুর দশায় চলছে না’গঞ্জের রাজনীতি!

Alokito Narayanganj24
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০ ১:০৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিশেষ প্রতিনিধি:গ্রুপিং আর দলীয় কোন্দলের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে। জেলা কিংবা মহানগর, দুই কমিটিতেই স্পষ্ট শীর্ষ নেতাদের বিভাজন। এতে করে বিভক্ত এ জেলার আওয়ামী লীগের রাজনীতি। এদিকে শীর্ষ নেতাদের দায়ীত্ব অবহেলায় নেতৃত্বহীনতায় ভূগছে নারায়ণগঞ্জের বিএনপি অঙ্গন। কমিটি ছাড়াও দলটিতে স্থানীয় পর্যায়ে একাধিক প্রভাবশালী নেতা থাকলেও নেই কেবল দলীয় চেইন অব কমান্ড। যার ফলে পন্থীগত ভাবেই চলছে কমিটি বীহিন বিএনপি’র রাজনৈতিক কার্যক্রম। এতে করে অস্তিত্ব সংকটে পরেছে দলটির রাজনৈতিক ভবিষৎ। অপরদিকে গ্রুপিং কিংবা বিভাজন, সব মিলিয়ে উভয় সংকটে রয়েছে এ জেলার জাতীয় পার্টি।

জানা যায়, আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত প্রাচ্যের ডান্ডি নারায়ণগঞ্জ। বলা হয়ে থাকে ক্ষমতাসীণ দলটির জন্মও হয়েছে এই নারায়ণগঞ্জে। ইতিহাসে বর্র্ণিত রয়েছে, জন্মলগ্ন থেকে অদ্যাবদি দলটির যতো আন্দোলন সংগ্রাম ও তার উৎপত্তি হয়েছে নারায়ণগঞ্জ থেকে। পরবর্তীতে যা সারাদেশে আন্দোলনের জোয়ার তুলেছে। এই কারণে নারায়ণগঞ্জকে রাজনীতির আতুড়ঘর হিসেবে দাবী করা হয়ে থাকে। তবে সাংগঠনিক ভাবে দলটি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চাইতে ভালো অবস্থানে থাকলেও দলীয় কোন্দল দলটির ভবিষ্যত রাজনীতি নিয়ে তৃণমূলকে শঙ্কিত করে তুলছে। নারায়ণগঞ্জের ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৩টিতেই রয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি। এরা হলেন রূপগঞ্জ আসনে গাজী গোলাম দস্তগীর (বীর প্রতীক), আড়াইহাজার আসনে নজরুল ইসলাম বাবু এবং ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনে জেলার প্রভাবশালী নেতা একেএম শামীম ওসমান। তিনজনেই স্ব স্ব আসনে বেশ প্রভাবশালী। নিজেদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের গুণাবলি দিয়ে ওই সংসদীয় আসনগুলোতে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কমিটি গুলোকে একক নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন তারা। এর মধ্যে আড়াইহাজার আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো পরিচালিত হয় সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবুর ইশারায়। একই সাথে রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রতিটি লীগেই রয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীরের দাপট। তবে এদের দুজনকে ছাপিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে প্রতিটি সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বে রয়েছে এমন কিছু নেতাকর্মী, যারা সকলেই প্রভাবশালী নেতা একেএম শামীম ওসমানের পরিক্ষিত ও অত্যন্ত আস্থাভাজন কর্মী। সেই সূত্রে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, যুব মহিলালীগসহ প্রতিটি সহযোগী সংগঠনেই রয়েছে শামীম ওসমানের জয় জয়কার। এদিকে তিন সাংসদের বাইরেও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে কিছুটা আধিপত্য রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দুইবারের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর। ফলে ৩ এমপি ও মেয়র, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাইরে এই ৪টি শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়ন্ত্রণ করে থাকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগকে। এতে করে এ জেলার আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখন গ্রুপিং রাজনীতিতে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি নেতাকর্মী এদের কারো না কারো অনুগামী হিসেবে রাজনীতি করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগে যখন শীর্ষ নেতৃত্বের ছড়াছড়ি, তখন বিএনপিতে দেখা দিয়েছে নেতৃত্ব শূণ্যতা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলটির স্থানীয় রাজনীতিতে একাধিক প্রভাবশালী নেতা থাকলেও কোন্দল আর বিভাজনে নেতৃত্ব শূণ্য হয়ে পড়েছে দলটির তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। এতে করে দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদার কারামুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আন্দোলনেও রাজপথে সফল হতে পারছে না দলটি।

সূত্র বলছে, নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে একসময় বিস্তর প্রভাব ছিল বিএনপি’র। স্থানীয় নেতাদের দাপুটে রাজনীতির ফলে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শীর্ষ নেতাদের নজরে সব সময়ই থাকতো নারায়ণগঞ্জের নাম। আর তাইতো বিএনপি একাধিকবার সরকার গঠনের পর মন্ত্রী পরিষদে স্থান পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জের অনেকেই। পেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের দায়িত্বও। তবে সময়য়ের বিবর্তনে বিএনপি’র স্থানীয় রাজনীতিতে সেই জৌলুস এখন হারাতে বসেছে দলটি। তৃণমূল নেতৃবৃন্দের দাবী, শীর্ষ নেতৃত্বে কোন্দল, নেতায় নেতায় নেতাগিরী আর কাঁদা ছোড়াছুড়ি রাজীতির ফলে খাদের কিনারায় চলে গেছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র রাজনীতি। যার ফলে দলীয় চেয়ারপার্সন কারাবন্দী থাকাকালীন সময় কিংবা দলীয় কর্মসূচী পালন করার ক্ষেত্রে তেমন একটা সফলতার মুখ দেখতে পারেনি দলটি। শুধু তাই নয়, ব্যক্তিগত দ্বন্দ আর প্রতিহিংসার কারনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সকল কায়ক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছে আদালতের নির্দেশনায়। ফলে সঠিক নেতৃত্বের অভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির তৃণমূল। অপরদিকে গ্রুপিং, কোন্দল আর নেতৃত্বহীনতা, এসব কিছুই খুঁজে পাওয়া যাবে নারায়ণগঞ্জের জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে। যদিও দলটির স্থানীয় পর্যায়ে জেলা ও মহানগরের দুটি কমিটি নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে জেলা জাতীয় পার্টির দায়িত্বে রয়েছে আবু জাহের এবং মহানগরের দায়িত্বে রয়েছেন সানাউল্লাহ সানু। তবে কমিটি নয়, বরং এই জেলায় জাতীয় পার্টির দুই সংসদ সদস্যের নেতৃত্বেই চলে নারায়ণগঞ্জ জাতীয় পার্টি। যাদের একজন সদর-বন্দর আসনের সাংসদ ও ব্যবসায়ী নেতা একেএম সেলিম ওসমান এবং অপরজন সোনারগাঁ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা। এছাড়াও সদর-বন্দর আসনের প্রয়াত সাংসদ একেএম নাসিম ওসমান পত্নী পারভীন ওসমানের বলয়েও রয়েছে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের কিছু অংশ। নাসিম ওসমান মারা গেলেও তার বেশ কয়েকজন অনুসারী এখনো প্রয়াত এ সাংসদের স্ত্রী’র নেতৃত্বেই রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। যার মধ্যে জাতীয় ছাত্র সমাজ এবং যুব সংহতি অন্যতম। এদিকে নারায়ণগঞ্জে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে হঠাৎ করেই আগমন ঘটেছে বিতর্কিত ব্যবসায়ী আল জয়নালের। অর্থের বিনিময়ে কেন্দ্রীয় কমিটির পদ বাগিয়ে নিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলের পায়তারার অভিযোগ রয়েছে জয়নালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে বিএনপি-জামাত শাসনামলে জামাতের সাথে কানেকশন ছিল আল জয়নালের। সেই সময় রাতারাতি কোটিপতি বনেও গিয়েছিলেন তিনি। এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রথমে তাঁতীলীগ এবং পরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কিছুদিন পূর্বে সদর-বন্দর আসনে মনোনয়ন পাওয়ার আশায় তৎকালীণ সময়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বোধীন জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন আল জয়নাল। তবে নির্বাচনের পরে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে আর তেমন সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না বিতর্কিত এই নেতাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!