নারায়ণগঞ্জরবিবার , ২৯ আগস্ট ২০২১
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

মামুন মাহমুদের অর্থ বানিজ্যেই জেলা বিএনপিতে বিভক্তি

Alokito Narayanganj24
আগস্ট ২৯, ২০২১ ১:২৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক : জেলার ৭টি থানা কমিটিসহ ১০ ইউনিট কমিটি গঠনে অধ্যাপক মামুন মাহামুদের অর্থ বানিজ্যের বিষয়টি এখন আর গোপন কিছু নয়। রাজধানীর সিদ্ধেশ^রীতে সোনারগাঁয়ের বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেনের বাস ভবনে বসে নগদ অর্থ নিয়ে জেলার দশটি ইউনিটে নিজ পছন্দের লোকদের স্থান পাইয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠা মামুন মাহামুদের কারনেই জেলা বিএনপি আজ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পরেছে এমন দাবি বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের।

শুধুমাত্র অর্থ বানিজ্য নয়, জেলে থাকা দেশের আলোচিত সেভেন মার্ডারের প্রধান আসামী নুর হেসেনের মন রক্ষার্থে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান সিদ্ধিরগঞ্জের শাহ আলম হীরাকে কমিটিতে স্থান দিতে চাইছেন তিনি। দলীয় একাধিক সূত্রমতে, কারাগারে আটক থাকা নুর হোসেন কারাগার থেকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহামুদকে ফোন করে সিদ্ধিরগঞ্জ কমিটিতে হিরা কে সদস্য সচিব করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন।

এক সময়কার গুরু নুর হোসেনের কথা রাখতেই বিতর্কিত হিরাকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে প্রস্তাব রেখেছেন মামুন মাহামুদ। শুধমাত্র সিদ্ধিরগঞ্জ কমিটি গঠন নিয়ে জেলার সাতটি থানার কমিটিসহ দশটি ইউনিট কমিটি গঠনে মামুন মাহামুদ তার একক আধিপত্য বজায় রাখতে গিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬আগস্ট) জেলা বিএনপির আহবায়ক এডঃ তৈমূট আলম খন্দকারের সাথে দ্বন্ধে জড়িয়ে পরেন। সেদিনের বৈঠকে তৈমূর আলম খন্দকার মামুন মাহামুদের এরূপ কমিটির প্রস্তাবনার বিরোধিতা করে বৈঠক থেকে উঠ আসেন। এডঃ তৈমূর আলমের এ সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে তৃনমূল নেতা-কর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এ ঘটনায় তৃণমূলের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্য ফিরে আসে। তারা তৈমূরের এমন সাহসিকতা ও উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, সুন্দর ও শক্তিশালী কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তৈমূর আলম খন্দকারের পাশে তারা সবাই থাকবেন। একই সাথে তারা অভিযোগ করে বলেন, মামুন মাহমুদ প্রতিটি থানা ও উপজেলাতে নিজের মত করেই কমিটি সাজাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি কমিটির আহ্বায়ক তৈমূর আলম খন্দকারকে কোনো রকম পাত্তাই দিচ্ছিলেন না। এনিয়ে তৃণমূলের মাঝে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ ছিল। সিদ্ধিরগঞ্জের শাহ আলম হীরার মা আওয়ামী লীগ নেত্রী, এক ভাই ছাত্রলীগ নেতা আরেক ভাই শ্রমিক লীগ নেতা হওয়ার পরও তাকেই মামুন মাহমুদ সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির সদস্য সচিব করার প্রস্তাব দেন। এতে দুই একজন ছাড়া বাকী সকল সদস্যই বিরোধীতা করেন। কিন্তু তা কোনো ভাবেই কর্ণপাত করছিলেন না মামুন। তিনি তার ইচ্ছে এবং স্বার্থের জন্য শাহ আলম হীরাকেই সদস্য সচিব বানাবেন। এ নিয়ে ঢাকার ৭১ রেস্টুরেন্টে ব্যাপক বাগবিতন্ডা, বিরোধীতা হয় বৃহস্পতিবার বিকেলে। এক পর্যায়ে তৈমূর আলম খন্দকার বৈঠক ছেড়ে উঠে আসেন। এসময় অন্যান্য সদস্যরাও তৈমূর আলমকে সমর্থন করে তার সাথে বৈঠক বয়কট করে বেরিয়ে আসেন।

ফতুল্লা কমিটি নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। আহবায়ক এবং সদস্য সচিব পদে একাধিক নেতার নাম আলোচনায় উঠে এসছে। সিদ্ধিরগঞ্জে আব্দুল হাই রাজুকে আহ্বায়ক এবং আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান শাহ আলম হীরাকে সদস্য সচিব হিসেবে নির্ধারিত করেন। এই দুটি এলাকাতে গিয়াস উদ্দিন ও তৈমূর আলম খন্দকারের কোনো লোককে স্থান দেওয়া হচ্ছে না।

সোনারগাঁয়ে আজহারুল ইসলাম মান্নানকে আহ্বায়ক ও মামুন মাহমুদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চাওয়া মোশারফ হোসেনকে সদস্য সচিব নির্ধারণ করেন। এখানেও মোশারফকে নিয়ে বিরোধীতা করেন অন্যান্য সদস্যরা। কিন্তু মামুন মাহমুদ এতেও কর্ণপাত করেননি। অন্যদিকে রূপগঞ্জে কমিটি নিয়েও নেতাদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্ধ দেখা দিয়েছে। এখানে বাদ দেওয়া হয় তৈমূর আলম খন্দকারের লোকজনকে। অথচ গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নেতা-কর্মীরা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে দিপু ভূইয়া কে নির্বাচনী প্রচারের জন্য মাঠে নামার জন্য অনুরোধ করেলেও তিনি নামেন নি। বরং নেতা-কর্মীদেরকে তিনি বলেন যে দলীয় হাই কমান্ড তারেক জানা জিয়া তাকে নির্বাচনী মাঠে না থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তাই তিনি প্রচারনায় থাকবেন না। তবে জেলার আড়াইহাজার ও বন্দর কমিটি নিয়ে কোন দ্বিমত না থাকলেও অন্যান্য কমিটি নিয়ে চরম বিরোধ দেখা দিয়েছে। তবে বিএনপির তৃনমূলের নেতাকর্মীদের দাবি, আগামী কমিটিগুলো দলের ত্যাগী এবং পরীক্ষিতদের দিয়েই গঠন করা হোক। তবে বৃহস্পতিবার রাজধানীর ৭১ হোটেলে মামুন মাহমুদের সাথে বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়ার ঘটনার পর জেলা বিএনপির আহবায়ক তৈমুর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আমি কারো কাছে মাথা নত করবোনা। কোন প্রভাবশালী অশুভ শক্তি আমাকে দলের ত্যাগী ও নিবেদীত নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। আমার এখন আর হারানোর কিছু নেই। আমি বাকী সময়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের পাশেই থাকবো।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!