নারায়ণগঞ্জরবিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

রূপগঞ্জে রফিক বাহিনীর হামলা, আহত ৫

Alokito Narayanganj24
ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪ ৫:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি: চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে নাওড়া গ্রামের বাসিন্দাদের ওপর চার দফায় হামলা করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ রফিক বাহিনী। এসব হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে ২১ জন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রফিক বাহিনীর হামলায় শিশুসহ ৫ জন ছররা গুলিতে আহত হয়েছে। এ সময় আরও প্রায় ২২ জন বিভিন্নভাবে আহত হন।

জানা গেছে, রফিক বাহিনীর প্রধান রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই মিজানুর রহমানের নেতৃত্ব গতকাল জসু, আলেক, শাহ আলম, এমদাদুল, রহমান, নাজমুলসহ ৬০-৭০ জন সন্ত্রাসী নাওড়া গ্রামে হামলা করে। তারা কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোতালেব ভূঁইয়ার বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের হাতে দেশি-বিদেশি পিস্তল, রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ ধারালো অস্ত্র ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এই হামলায় ৫ জন ছররা গুলিতে আহত হন। এর মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সদস্য জাকির হোসেন জাগু, আবুল হোসেন, মোহাম্মদ আল-আমিন, মারুফা আক্তার ও ১১ বছর বয়সী শিশু মোহাম্মদ জুম্মন হোসেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত জাকির হোসেন জাগুর বাবা আবুল পাশা বলেন, ‘রফিক বাহিনীর প্রধান রফিকের ছোট ভাই মিজানের নেতৃত্বে সন্ধ্যায় প্রায় ১৫০ জন সন্ত্রাসী আমাদের বাড়িঘরে হামলা করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার ছেলেকে গুলি করে। আহত হয়ে পড়ে গেলে তার মাথায় আঘাত করা হয়।’

কেন বারবার তাদের ওপর হামলা হচ্ছে জানতে চাইলে আবুল পাশা বলেন, ‘আমাদের জমি দখল করতে সন্ত্রাসীরা একজোট হয়েছে। তারা আমাদের এলাকাছাড়া করে জমির দখল নিতে চায়।’

গুলিবিদ্ধ শিশু মোহাম্মদ জুম্মন হোসেনের বাবা মোজাম্মেল আর্তনাদ করতে করতে বলেন, ‘আমার ১১ বছর বয়সী ছেলেটার কী দোষ? হঠাৎ করে রফিকের সন্ত্রাসীরা বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায়। আমার ছেলের পুরো শরীর রক্তে ভিজে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রফিক জমি দখল করতে গত ১০-১২ দিনে আমাদের গ্রামবাসীর ওপর চার দফায় হামলা করেছে। আমাদের অনেকে এখনো আহত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিচ্ছে। এখন আবারো হামলা করেছে। এই গ্রামের কাউকে বাঁচতে দেবে না সে।’

গুলিবিদ্ধ মোহাম্মদ আল-আমিন বলেন, ‘গত কয়েক বছর যাবৎ রফিক বাহিনীর সদস্যরা আমাদের ওপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার করছে। সম্প্রতি তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নাওড়া মধ্যপাড়ার মোতালেব ভূঁইয়া ও প্রধানের বাড়ির কাউকে একা পেলেই কারণে-অকারণে মারধর করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারের দিকে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে সন্ত্রাসীরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার পা অবশ হয়ে যায়। দৌড়ও দিতে পারছিলাম না। পরে দেখি পা দিয়ে রক্ত পড়ছে।’

কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘পূর্বাচলের নিকটবর্তী হওয়ায় কায়েতপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জমি দখল করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ইউনিয়নটির সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। গত শুক্রবার কায়েতপাড়ায় উপস্থিত হয়ে প্রকাশ্যে ভুক্তভোগীদের মেরে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় জনসম্মুখে তাদের বাড়িঘর ভেঙে সব জায়গাজমি দখলে নেওয়ার ঘোষণা দেন রফিক।’

তিনি আরও বলেন, ‘রফিক বাহিনীর ভয়ে অনেক পরিবার এখন গ্রামছাড়া। গত তিনবারের হামলার ঘটনায় আহত অনেকেই এখনো গ্রামে ফিরে আসে নাই। তাই তারা কয়েকদিন পরপর হামলা করছে।’

এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি দুই দফায় রফিক বাহিনীর হামলায় নাওড়া গ্রামের ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়। ওই সময় নারী-শিশুসহ ১৩ জন আহত হয়। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি আবারও নাওড়া গ্রামে হামলা করে রফিক বাহিনী। ওই দিন ৮ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৬ জন আহত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!