আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে র্যাব-১১’র অভিযানে ৪ প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে অবস্থিত র্যাব-১১’র সদর দপ্তর থেকে অপারেশন অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী, পিপিএম স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ছমির উদ্দিন ভুঁইয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান ভুঁইয়া (৪৫), মৃত আব্দুর রশিদ খানের ছেলে লিয়াকত হোসেন খান রনি (৫৬), মৃত আব্দুল হালিম মোল্লার ছেলে মোঃ মাজিদুল ইসলাম (৪৩) ও মৃত তারা মিয়ার ছেলে মোঃ আফছার উদ্দিন সেলিম (২৮)।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় র্যাব-১১ বাহিনীর একটি আভিযানিক দল মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ডের চিটাগাং রোড এলাকায় হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের এ চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গত প্রায় একবছর যাবৎ জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর নামের আড়ালে এই প্রতারক চক্র ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে বিভিন্ন পদে চাকুরীর বিজ্ঞাপন দিয়ে শতশত যুবক-যুবতী ও ছাত্র-ছাত্রীদের ফুল টাইম-পার্ট টাইম চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিশাল অংকের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। এই প্রতারক চক্রটি ভূয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকুরী প্রত্যাশীদের কাছ থেকে রেজিষ্টেশন ফি হিসেবে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫২০ টাকা করে হাতিয়ে নিত। পরে চাকুরীর নিশ্চয়তা ও বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ১০-২০ হাজার টাকা নিয়ে ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে পলিসি খুলতে বাধ্য করত। ইউনিট ম্যানেজার, ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, এ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার প্রভৃতি পদে ১৮,৫০০ হতে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে ইন্সুরেন্স খুলতে প্রলুব্ধ করত। চাকুরী পাওয়ার পর মাসের পর মাস অফিসে আসা যাওয়া করে বেতন না পেয়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে অনেকে প্রদেয় টাকা ফেরত চাইলে তাদেরকে ভয় ভীতি, হুমকি এমনকি মারধরও করত।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরো জানায়, বেশ কয়েকজন ভূক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল চিটাগাং রোড এলাকায় হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মোঃ মনিরুজ্জামানসহ লিয়াকত হোসেন রনি, মাজিদুল ইসলাম ও আফসার উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের নিকট হতে ভূয়া চাকুরীর বিজ্ঞাপন, ভূক্তভোগীদের নিকট হতে অর্থ আদায়ের রশিদ, চাকুরী প্রার্থীদের নিবন্ধন ফরম ও মোবাইল প্রভৃতি জব্দ করা হয়। প্রতারক চক্রের বাকী সদস্যদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন........