নারায়ণগঞ্জমঙ্গলবার , ২ আগস্ট ২০২২
  1. অর্থনীতি
  2. আরো
  3. এক্সক্লুসিভ
  4. খেলাধুলা
  5. জাতীয়
  6. নারায়ণগঞ্জ
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. লিড নিউজ
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সারাদেশ

সিলেট থেকে একসঙ্গে বাড়ি ছাড়া দুই বান্ধবী ফতুল্লা থেকে উদ্ধার

Alokito Narayanganj24
আগস্ট ২, ২০২২ ১২:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলোকিত নারায়ণগঞ্জ:একজনের পরিবারে বিয়ের কথা চলছে, কিন্তু তিনি বিয়ে করবেন না। আরেকজন মায়ের কাছে বায়না ধরেছিলেন মোবাইল কেনার টাকার জন্য, কিন্তু মা টাকা না দিয়ে মারধর করেছেন। তাই দুই বান্ধবী একসঙ্গে ‘অভিমান করে’ পালিয়ে যান বাড়ি থেকে। তবে প্রযুক্তির সহায়তায় ১১ দিন পর সুনামগঞ্জের ওই দুই ছাত্রীকে ফতুল্লা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

উদ্ধার একজনের সোমা আক্তার শাহজাদী (২২)। তিনি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌড়ারং ইউনিয়নের বড়ঘাট গ্রামের সাজ্জাদুর রহমান সানজু মিয়ার মেয়ে  ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আরেকজন লায়লা সোবহান ঝিলিক। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের পলাশগাঁওয়ের আব্দুস সোবহানের মেয়ে ও পলাশ উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসএসসি পরীক্ষার্থী ঝিলিক জানান, তিনি মায়ের কাছে মোবাইল কেনার জন্য টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু মা মোবাইল কেনার টাকা না দিয়ে মারধর করায় সে মায়ের সাথে অভিমান করে বান্ধবী শাহজাদীর সঙ্গে পালিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের ফতুল্লা এলাকায় চলে যান।

 

অপরদিকে কলেজছাত্রী সোমা আক্তার শাহজাদী তার বিয়ের কথাবার্তা চলার কারণে তিনি পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বান্ধবী ঝিলিকের সঙ্গে  বাড়ি ছেড়ে চলে যান। সোমা পুলিশকে জানান- তিনি এখন বিয়ে করতে চান না, লেখাপড়া করতে চান। পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের কথাবার্তা চলার কারণে তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে যান।

তারা দুজন নিখোঁজের পর দুই পরিবারের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর থানায় জিডি করা হয়।

পুলিশ জানায়, গত ২১ জুলাই সকালে লায়লা সোবাহান ঝিলিক ও সোমা আক্তার শাহজাদী একসঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এর ১১ দিন পর ফতুল্লা এলাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজের জন্য যাওয়ার পথে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে পুলিশ সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় নিয়ে আসে।

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এ দুজন নিখোঁজের পর পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে।  কিন্তু তাদের ব্যবহৃত  মোবাইল বন্ধ থাকায় অবস্থান শনাক্ত করা যায়নি। পরে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের  উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ নিয়ে এসে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুজজামান। সঙ্গে ছিলেন বিশ্বম্ভরপুর থানার এসআই অঞ্জন সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন...

আপনার মতামত লিখুন........

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
error: দুঃখিত রাইট ক্লিক গ্রহনযোগ্য নয় !!!