আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : সূদুর পঞ্চগড় থেকে ফেরার পথে কভারভ্যানের সাথে ধাক্কা খেয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় লাশ হয়ে ফিরল মুছাপুর এলাকার গৃহবধু রাবেয়া(১৪)। গত শনিবার সকাল ১১টায় রংপুর মহাসড়কে শ্বশুরবাড়ী থেকে ফেরার পথে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত গৃহবধু রাবেয়া দক্ষিন মুছাপুর এলাকার জসিম উদ্দিনের মেয়ে ও মদনপুরস্থ কেওঢালা এলাকার আলফাজ উদ্দিনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় জেলার পানি মাছপুর গ্রামের মাসুদ রানার ছেলে রুবেল নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার মদনপুরের কেওঢালা এলাকার আলফাজ উদ্দিনের ভাড়াটিয়া বাড়ি থেকে তার স্ত্রী রাবেয়া,ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আইরিন,বন্ধু শাহাদাৎসহ ৫/৬জনকে নিয়ে প্রাইভেটকার যোগে তারই দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের বিয়ের দাওয়াত দিতে গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ে যায়। ১দিন থাকার পর শনিবার ওই প্রাইভেটকার যোগে ফেরার পথে রংপুর মহাসড়কে একটি ডায়ানষ্টিক সেন্টারের সামনে সজোরে একটি পিকআপভ্যান প্রাইভেটকারকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রাইভেটকারটি সঙ্গে সঙ্গে ওল্টে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই গৃহবধু রাবেয়া নিহত হয় ও প্রাইভেটকারে থাকা চালকসহ সবাই আহত হয়। তাদের সকলকে রংপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে রংপুর থানা পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত প্রাইভেটকারটিকে আটক করা হয়েছে বলে আহতসুত্রে জানা গেছে। পরে শনিবার রাতে রুবেল তার স্ত্রী নিহত রাবেয়ার লাশ বন্দরে মুছাপুর তার শ্বশুরবাড়ীতে নিয়ে আসলে রাবেয়ার পরিবারে শোকের মাতম সৃষ্টি হয় ও সবাই রুবেলকে সন্দেহ করে তাকে অবরোদ্ধ করে রাখে।
নিহত গৃহবধু রাবেয়ার পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, এটা কোন দূর্ঘটনা নয়। মার্ডার দৃশ্যমান। কেননা, সড়ক দূর্ঘটনায় রাবেয়া স্পটেই নিহত হল আর সবাই অক্ষত রইল এ কেমন কথা। রুবেল একজন মাদকসেবী ও মাতাল প্রকৃতির লোক। সে আরো কয়েকটি বিয়ে করেছে। তাকে বিশ্বাস করা যায়না। রাবেয়ার মৃত্যুর জন্য রুবেলই দায়ী।
এ ব্যাপারে বন্দর থানা পুলিশকে অবগত করলেও কোন অভিযোগ হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন........