নিজস্ব সংবাদদাতা:ওরা কখনো … নিজেদের থানা পুলিশ, কখনো জেলা গোয়েন্দা সংস্থা কিংবা র্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে আবারও ওদেরকে দেখা যায় আইনশৃংঙ্খলার বাহিনীর পিক আপ ভ্যানে। তবে এখন আর ওদের হাতকড়া অবস্থায় দেখা যায় না। কারন ওরা চিহ্নিত অপরাধীদের গ্রেফতার করার কাজে এবং মাদক নিমূলসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড নিধনের লক্ষ্যে প্রশাসনকে সহায়তা করেন। এ কারনে এলাকার মানুষ ওদেরকে সাধারনত সোর্স হিসেবেই চেনেন, আর এটাই তাদের একমাত্র সম্বল। ওরা কারা…? এমনই প্রশ্ন জনসাধারন, নারায়নগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যাব-১১ সহ জেলার বিভিন্ন থানার সোর্স হিসেবে পরিচয়দানকারী। অসংখ্য মাদক ব্যবসায়ী পতিতা সর্দারসহ নানা অপরাধে সক্রিয় প্রায় ডজন খানেক সাইনবোর্ডধারী সোর্সের নাম উল্লেখ্য করেন। যারা নিজেরাই মাদক ব্যবসা, পতিতাবৃত্তি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে।
আর ঐ সকল নামধারী সোর্সদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেন ফতুল্লার মাসদাইর এলাকার হাসান,শাহীন,রফিক,দিদার ওরফে পাগলা দিদার,রিপন ওরফে কাইল্লা রিপন, কসাই নাসির, দাপা রেলষ্ট্রেশন এলাকার মাদক সম্রাজ্ঞী ডিবির সোর্স পারভীন, পান্না, সুমন, সোহাগ, লালপুর এলাকার মান্নান ওরফে ফেন্সি মান্নান, বাদল,জাফর, তক্কারমাঠ এলাকার লিপি ওরফে হেরোইন লিপি, পাগলা নয়ামটি চিতাশাল এলাকার লিটন,নজরুল,আলী,জীবন মুন্না,আমির,আবু বকর,আমজাদ, বাবু ওরফে কেতরা বাবুু, রিপন ওরফে টুল্লু,কামাল, নিশাদ(কারাগারে) লিমন, কানা সজীব, মাছুম, মাহাবুব এনাম, সুমন, পারভেজ,রনি ওরফে পেচাঁ রনি নন্দলালপুর এলাকার ডাকাত নয়ন, রনি, লাল খা এলাকার কাইল্যা মাসুদ, শিবু, দেওভোগের আশরাফ, তল্লার নওফেল, কাউছার(কারাগারে) ধর্মগঞ্জের আলম,সাইদুল, জাহাঙ্গীর,(সাদ্দাম ইয়াবাসহ আটক)।বক্তাবলী এলাকার মতিন, চাঁনমারী এলাকার দিলিপ, নাগবাড়ী এলাকার সুমন ওরফে ইয়াবা সুমন, বাবুরাইলের বাদশা, আলীগঞ্জের আইনুল, সল্টু রাসেল,শান্ত,নোয়াব আলী, কবির।সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী এলাকার চিহ্নিত মাদক সম্রাট শাহীন, বন্দর এলাকার ইউনুছ, খাঁনপুর এলাকার মাদক সম্রাজ্রী মুন্নি ওরফে মোবাইল মুন্নি অন্যতম। ডিবির সোর্স আনোয়ার, আলোমগীর।
অভিযোগে আরো জানা গেছে,এক সময়ে থানা পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী প্রতিষ্টিত মাদক ব্যবসায়ী পারভিনকে মাদক সহ গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দীর্ঘদীন ধরে কারাভোগের পর এখন নিজেকে নারায়নগঞ্জ জেলা ডিবি সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকায় দাবড়িয়ে বেড়ায়। তার বিরুদ্ধে ১ ডজনের বেশী মামলা রয়েছে।সে ডিবি পুলিশের হাতে ক্রসফায়ারে নিহত লিপুর সাবেক স্ত্রী । বর্তমানে বন্দর এলাকার চিহ্নিত এক মাদক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে ফতুল্লা রেলষ্টেশন মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে।
উল্লেখিত নামধারী সোর্সদের সিংহ ভাগই নিজেদের সোর্স পরিচয় দিয়ে নীজ নীজ বলয়ে চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অপকর্ম। পতিতাবৃত্তিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড।
এলাকাবাসীর অীবযোগে জানা গেছে, ঐ সকল নামধারী সোর্সদের দিয়ে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দাগী আসামী, অস্ত্র, জি.আর ও সি.আর ওয়ারেন্ট তামিলসহ বড় ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে সক্রিয়দের গ্রেফতারের জন্য সহায়তা কামনা করে থাকে। আর প্রশাসনকে তাদের আইনী কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তার নামে ঐ সকল সোর্স নামধারী কথিত সোর্সরা অপরাধীদের সাথে সখ্যতা অনেকটাই ওপেন খোলামেলা রুপে পরিনত হয়েছে। অধিকাংশ সময় ওদেরকে নিয়ে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রকাশ্যেই ঘোড়ে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ওলি গলি।
সচেতন মহলের অভিযোগ, আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সোর্স পরিচয়দানকারী উল্লেখিতরা অপরাধ নিমূলে প্রশাসনকে সহায়তা যতটুকুই করে, তাদের সাথে সখ্যতা রেখে তার চাইতেই বেশি অপরাধ কর্মকান্ড করে বেড়ায়। এ সব ক্ষেত্রে অনেক সময় ঐ সকল সাইনবোর্ড নামধারী সোর্সদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে জানালেও কোন লাভ হয়না বলে ভোক্তভোগী অনেকে অভিযোগ করেন। ইতিপূর্বে উল্লেখিত সোর্সদের নানা কুট কেীশলের জালে পড়ে অনেক নিরীহ মানুষকে হাজত বন্দী হতে হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষতে ঘায়েল করতে ঐ সোর্সদের মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ব্যবহার করা হয় বলেও রয়েছে অভিযোগ।
আপনার মতামত লিখুন........