আলোকিত নারায়ণগঞ্জ :নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ৪৭ হাজার ৩২০ পিস ইয়াবাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। এসময় মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত একটি নোহা মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুরস্থ রাফি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্ণেল ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, গোপনসূত্রে জানা যায় কক্সবাজারের এক ইয়াবা পাচারকারী চক্র মাইক্রোবাসযোগে নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবা সরবরাহ করবে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ছদ্মবেশে অবস্থান নেয়। রাত আড়াটার দিকে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী একটি মাইক্রোবাস উক্তস্থানে থামে এবং ২ জন লোক মাইক্রোবাস থেকে ২টি পোটলা গ্রহন করার সময় হাতে নাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এবং তাদের হেফাজত থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্দেহভাজন মাইক্রোবাসটি পালানোর চেষ্টাকালে র্যাবের আভিযানিক দল ব্যারিকেড দিয়ে মাইক্রোবাসটি আটক করে। এবং মাইক্রোবাসের ভিতরে থাকা ২ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ শফিকুল ইসলাম (২০) ও মোঃ জামাল উদ্দিন (৩২) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে মাইক্রোবাসটি তল্লাশি করে পেছনের শাটার দরজার প্যাডের ভিতরে রাখা ৩৭ হাজার ৩২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরোও জানান, মাদক ব্যবসায়ী মোঃ শফিকুল ইসলামের বাড়ি কক্সবাজারের ইসলামপুর ও মোঃ জামাল উদ্দিনের বাড়ি চকরিয়ার ভরামহরী এলাকায় এবং মোঃ জামাল হোসেন ও মোঃ তানভীর হাসানের বাড়ি বরিশালের উজিরপুর থানার মশাং ও বাবরখানা এলাকায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে কক্সবাজার থেকে মাইক্রোবাসে অভিনব কৌশলে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা এনে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। এছাড়াও তারা বরিশাল অঞ্চলেও নিয়মিত ইয়াবা সরবরাহ করত। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো স্বীকার করে যে তারা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে অভিনব কৌশলে ইয়াবা পাচার করে আসছে এবং তাদের একমাত্র পেশা ছিল মাদক ব্যবসা। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন........