আলোকিত নারায়ণগঞ্জ : কুতুববাগ দরবারের পীর জাকির শাহের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করার পর পীরের পা ধরে মাফ চাইলেন ব্যবসায়ী ফজর আলী।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বন্দরের সমরক্ষেত্র এলাকায় কুতুববাগ দরবারে সাংবাদিকদের ডেকে পীর জাকির শাহের পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ব্যবসায়ী ফজর আলী।
একটি সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী ফজর আলী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে বিজ্ঞ আদালতে পীর জাকির শাহের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিও হয়েছিল পীর জাকির শাহের বিরুদ্দে।
ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে ফজর আলী সাংবাদিকদের জানান, তিনি বাবার (জাকির শাহ) সাথে মিটমাট করে নিয়েছেন। এমনকি মামলাও তুলে নিবেন বলে জানান। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বন্দরের সমরক্ষেত্র এলাকায় কুতুববাগ দরবারে সাংবাদিকদের ডেকে তিনি এসব কথা জানান।
এ সময় পীর জাকির শাহের পা ধরে ক্ষমাও চান। আমি কোন সাংবাদিকরে বাবার বিরুদ্ধে লিখতে বলি নাই। কিন্তু কীভাবে কী হয়েছে তা আমি জানি না। কিন্তু আগে পরে যা-ই হয়েছে সব বাদ। বাবার সাথে এখন আমার কিছু নাই, ভবিষ্যতে হবেও না। মামলা নিয়ে বাবার সাথে আমার সমাধান হয়ে গেছে। আমি মামলা প্রত্যাহার করে নেবো।
কুতুববাগ দরবারের পীর জাকির শাহ্ বলেন, উনি আমার ছেলে, মুরিদ সন্তান। মুরিদ অনেক সময় ভুল করে, ছেলেরাও অনেক সময় ভুল করে। মামলায় বাদীর পক্ষে সাক্ষী হয়েছেন আসামি জাকির শাহের ভাই সবির আহমেদ জামান। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাকির শাহ বলেন, আমার ভাই ব্যবসায়ীক কারণে এর (ফজর আলী) সঙ্গে জড়িত। ব্যবসার স্বার্থেই ওর সঙ্গে থেকে এই মামলাটি করেছেন। আপনারাই তো বোঝেন নইলে ভাই হয়ে কেন সাক্ষী দেবে? কী স্বার্থে দেবে? আপনারাই তো সব বোঝেন।
তিনি আরও বলেন, আমি তো ফকির মানুষ। আল্লাহ চালায় আর চলে এইসব। কিছু লোকে দেয় আর কিছু লোককে সেবা দেই আমি। ওইখান থেকেই কিছু অর্থ আমি ওদের ব্যবসায়ীক কাজে দিয়েছিলাম। কিন্তু ওইটার কিছু অর্থ ফেরত দিছে কিছু দেয় নাই। ওটা আত্মসাতের জন্যই এই মামলা। এখন মাফ চাইছে সুতরাং কিছু বলার আর নাই।
আপনার মতামত লিখুন........