আলোকিত নারায়নগঞ্জ ডট কম : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান এর বক্তব্য “বিএনপিকে মা পর্যন্ত শেষ গো বলার সুযোগ দিব না” বক্তব্যে স্থানীয় বিএনপির কর্তাবাবুদের নিরবতাই দুর্বলতার প্রকাশ পায় বলে ধারনা করছেন দলটির তৃনমূল। এছাড়াও বিভিন্ন সভা সমাবেশে তিনি বিএনপিকে নিয়ে নানা বক্তব্য দিয়ে আসলেও সেটার কোন প্রতিবাদ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
এ বিষয় স্থানীয় বিএনপির তৃনমূল আরও বলেন, আমাদের নেতারা মুখেই বলে তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশের সৈনিক কিন্তু এযাবৎ পর্যন্ত কাজে কর্মে এর ছিটে ফোটা প্রমান দেখাতে পারেনি। তারা মাইক হাতে পেলে ঐক্যের সুর তুলে সরকারের বিদায় ঘন্টা বাজী দেয় তবে সেটা শুধুই মঞ্চ পর্যন্তই থাকে রাজপথে তাদের অধিকাংশ নেতাদের দেখা মিলে না। ঘরে বসেই মামলার আসামী হয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখায় আন্দোলন করে হয়রানীর শিকার হচ্ছি। এই সকল সুবিধাবাদী নেতাদের কারনেই আজ বিএনপি আন্দোলন সংগ্রামে কোন ফল পাচ্ছে না। দিয়েছে তাদের দুর্বলতাই শামীম ওসমানকে প্রকাশ্যে হুমকী দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
আমরা ষ্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই তারা শামীম ওসমানের ভয়ে রাজপথে থাকতে চায় না। নতুবা স্থানীয় মিডিয়াতে সংবাদ প্রকাশের পরও কেন প্রতিবাদ জানায় না। এই সকল সুবিধাবাদী নেতারা রাজপথ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের আন্দোলনে বেশী আগ্রহী। আর যাই হউক ভীতদের দিয়ে দল চলে না। এই সকল নেতাদের কারনেই আজ তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আজ কারাগারে। এদের বিস্তার শুধু নারায়ণগঞ্জে নয় সারা দেশেই আছে এরা ব্যক্তি স্বার্থে রাজনীতি করে দলের স্বার্থে নয়। দল ক্ষমতায় আসলে তারাই প্রথম সারিতে থাকে সেখানে আমাদের চিহ্নও খুজে পাওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, শনিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে ফতুল্লা নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে ২৭ অক্টোবর জনসভাকে সফল করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ যখন মাঠে নামবে বিএনপি-জামায়াত মা বলার পর গো বলার সুযোগ পাবে না। আওয়ামী লীগের লোকজন যদি একবার ঘর থেকে বের হয়ে যায় তাহলে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় পাবে না। জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলাবেন না। ভাববেন না আমরা মরলে আপনারা বেঁচে যাবেন। আমার এলাকায় ডুয়েল খেলা খেলতে দেয়া হবে না। সাবধান হয়ে যান। আগামী ৩০ তারিখের পর চোখের পর্দা থাকবে না। এটা আমাদের শেষ লড়াই হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বিএনপির নেতাদের কোন প্রতিবাদ বা প্রতিকৃয়া না থাকায় দলের তৃনমূল ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন........