আলোকিত নারায়নগঞ্জ ২৪ ডট নেট : কমিটি গঠনের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিরোধ বিভক্তি প্রকাশ্য হয়ে ওঠে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে সভাপতি ও সেক্রেটারির মধ্যে শুরু হয়েছে ধুম্রজাল। সেক্রেটারি সাখাওয়াত ইসলাম রানার টার্গেট মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে মহানগরীতে পোক্ত করে বলয় সৃষ্টি করা। তবে বিষয়টি নিয়ে বেশ পর্যবেক্ষন করছেন সভাপতি আবুল কাউসার আশা। রানা টার্গেট নিয়ে এগিয়ে গেলেও অনেকটা গাছাড়াভাব দেখা যাচ্ছে আশার মাঝে। এমনটাই বলছেন নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীরা আরও জানিয়েছেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশেও সভাপতি ও সেক্রেটারি পৃৃথকভাবে মিছিল নিয়ে যোগদান করেছেন। ওই সমাবেশে যোগদানের পর অভিযোগ ওঠেছে আবুল কাউশার আশার সঙ্গে মহানগর ছাত্রদলের বেশকজন নেতাকর্মী যোগদান করেছেন। অথচ আশা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি। স্বেচ্ছাসেবক দলের কিছু অংশের নেতাকর্মীরা যখন রানার সঙ্গে তখন আশাও মহানগর ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রন করছেন যারা আগে থেকেই আশার সঙ্গে রাজনীতি করে আসছিলেন।
জানাগেছে, গত ৭ জুন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় কমিটি। কমিটিতে আবুল কাউসার আশাকে সভাপতি ও সাখাওয়াত ইসলাম রানাকে সেক্রেটারি করা হয়। এছাড়াও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ফারুক চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু ও জিয়াউল ইসলাম জিয়া।
কমিটি গঠনের দুদিন পর ৯ জুন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শহরে শোডাউন করতে গিয়ে আবুল কাউসার আশা সহ ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হন। ওই শোডাউনে অনুপস্থিত থাকা সাখাওয়াত ইসলাম রানা ওই দিনই মিডিয়াতে বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, ওই কর্মসূচি মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ছিল না। ওটা আশার ব্যক্তিগত কর্মসূচি। ওখান থেকেই মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিরোধ বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কয়েক মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান আশা। যদিও কয়েকটি কর্মসূচিতে সভাপতি ও সেক্রেটারিকে একই সঙ্গে পালন করতে দেখা যায়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি আবুল কালামের ছেলে আশা। তার সঙ্গে সাখাওয়াত হোসেন খানের মধ্যে প্রতিদ্বন্ধিতা রয়েছে নির্বাচন কেন্দ্রীক। বেশির ভাগ সাখাওয়াতের কর্মসূচিতে রানাকে দেখা গিয়েছিল। এমনও দেখা গেছে রানা আবুুল কালামের সঙ্গে বিকেলে আবার সাখাওয়াতের সঙ্গে সকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করেছেন। আবার একইদিন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের দুটি ব্যানারে পৃথকভাবে সভাপতি ও সেক্রেটারি কর্মসূচি পালন করেছেন। যেমনটা মহানগর বিএনপিরও দুটি পৃথক ব্যানারে এখানে কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।
এদিকে জানাগেছে, সভাপতি ও সেক্রেটারি নিজেদের মত করে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি সাজানোর চেষ্টা করছেন। যার যার মত করে সাজানোর চেষ্টা করছেন। যেখানে রানা চাচ্ছেন তার বলয় পোক্ত করতে এবং সাখাওয়াত হোসেন খানের বলয় ভারী করতে। কিন্তু এ নিয়ে আশাকে উদ্বিগ্ন দেখা যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। রানা নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে গেলেও এ নিয়ে তেমন মাথা ঘামাচ্ছেন না আশা।
তবে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি রানার পূর্ণ সম্মতি ছাড়া কেন্দ্র অনুমোদন দিবে না বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। ফলে এ পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে হয়তো রানার সমর্থিত বা অনুগতদেরই দেখা যেতে পারে অধিকাংশ। এতে সাখাওয়াত হোসেন খানের পাল্লা ভারি হবে বলেও মনে করছেন নেতাকর্মীরা। একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে আবুল কাউসার আশা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলকে সাংগঠনিকভাবে একক নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারছেন না।
আপনার মতামত লিখুন........